এ ঘটনায় মামলার পর দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Published : 19 Sep 2024, 07:34 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ মন্তব্য করে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিয়ে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “অমানবিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুঃখিত ও মর্মাহত। এ বিষয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বদ্ধপরিকর।
“বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রক্টরিয়াল টিম বিষয়টি অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।”
ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “দ্রুত প্রতিবেদনের জন্য ইতোমধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে বুধবার রাতে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ তোফাজ্জলকে ‘চোর সন্দেহে’ বেধড়ক পেটায় এক দল শিক্ষার্থী। পরে রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তোফাজ্জলের মরদেহ শনাক্ত করেন বন্ধু বেলাল গাজী। তিনি বলেন, তোফাজ্জলের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলি ইউনিয়নে।
“বরিশাল বিএম কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে মাস্টার্স করলেও মানসিক সমস্যার কারণে তোফাজ্জল কোনো কাজকর্ম করছিল না। গত ৩-৪ বছর ধরে তার এই মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। এরপর থেকে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ভবঘুরের মত বেড়াত সে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশেও থাকত অনেক সময়।”
এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ একটি মামলা করেন।
পরে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ এবং মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমনকে আটক করে শাহবাগ থানায় দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন-
ঢাবিতে পিটিয়ে হত্যা: 'কিছু ছাত্রকে' আসামি করার পর দুই জনকে পুলিশে