তবে ডিসি ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) বদলির বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি।
Published : 02 Dec 2023, 05:53 PM
চার নির্বাচন কমিশনার বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যে তথ্য পেয়েছেন, সেটির ভিত্তিতেই থানার ওসি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলি চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তবে ডিসি ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) বদলির বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি।
শনিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
ওসি ও ইউএনওদের রদবদল সরকার চেয়েছে, না কি আপনারা চেয়েছেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশন চেয়েছে। আমাদের কমিশনাররা গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় এবং অঞ্চল পর্যায়ে সফর করেছেন। তাদের যে ফাইন্ডিংস, তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন বসে গত ৩০ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনারদের কাছে মাঠ পর্যায় থেকে যে তথ্য পেয়েছেন, তার ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন অনুভব করেছে এ বদলির দরকার।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, “সব তথ্য তো ওপেনলি বলা হয় না। নির্বাচন কমিশনররা মাঠ পর্যায় থেকে যেসব তথ্য পেয়েছে, বিভিন্ন প্রার্থী কিংবা বিভিন্ন কোয়ার্টার থেকে যে তথ্য এসেছে, তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত। তারা মনে করেছে যে, বদলি করা প্রয়োজন।”
ডিসি ও এসপিদের বদলির বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। পরবর্তীতে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয়, তখন বলতে পারব। যদি নির্বাচন কমিশন বসে কোনো সিদ্ধান্ত নেন, সেক্ষেত্রে এটা হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না।
সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্যোগ
স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে অশোক কুমার বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে মেসেজ দেওয়া হয়েছে।
“এটা পুলিশের ঊর্দ্ধতনদের ও আমাদের রিটার্নিং অফিসারদের বলেছি। জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এসেছিলেন, সব বিষয়ে তাদের মেসেজ দেওয়া হয়েছে। কেউ যেন নিরাপত্তার কোনো ঘাটতিতে না ভোগেন। এরপরও যদি কারও গাফিলতিতে কিছু হয়, তার বিরুদ্ধে ইসি খুব স্ট্রং ব্যবস্থা নেবে।”
তিনি জানান, সব প্রার্থীর জন্য এ ব্যবস্থা। নিরাপত্তার দায়িত্ব তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তারা যেন তা নিশ্চিত করতে পারে, সেটাই কাম্য।
ইসির অতিরিক্ত সচিব জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় একটা স্বতন্ত্র হিসেবে আরেকটি দলীয় হিসেবে পূরণ করতে হয়। কেউ কেউ (সংশ্লিষ্ট প্রার্থী) দলীয় হিসেবে পূরণ করেছেন বলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পরে তার বৈধ্যতা বা অবৈধ্যতা, সেটা বাছাইয়ের সময় নির্ধারিত হবে।