তথ্য কমিশন অভিযোগের শুনানি শেষে আরও দুই সরকারি কর্মকর্তাকে সতর্ক করেছে।
Published : 22 Jan 2024, 11:24 PM
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য দিতে দেরি করায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তথ্য কমিশন।
একই সঙ্গে অভিযোগের শুনানি শেষে আরও দুই সরকারি কর্মকর্তাকে সতর্ক করেছে কমিশন।
সোমবার তথ্য কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন আবেদনকারীর চাওয়া তথ্য দেওয়ার মতো হলেও তা দিতে দেরি করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক। এজন্য ওই পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার প্রধান তথ্য কমিশনার আবদুল মালেক, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ও তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন কমিশনে আসা ১০টি অভিযোগের শুনানি করে সবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী, “তথ্য কমিশন যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, নাগরিকের তথ্য প্রাপ্তিতে উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কার্য করিয়া কোনো কর্মকর্তা বিঘ্ন সৃষ্টি করিয়াছেন, তাহা হইলে তথ্য কমিশন, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত জরিমানা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার এহেন কার্যকে অসদাচরণ গণ্য করিয়া তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে সুপারিশ করিতে পারিবে এবং এই বিষয়ে গৃহীত সর্বশেষ ব্যবস্থা তথ্য কমিশনকে অবহিত করিবার জন্য উক্ত কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করিতে পারিবে।”
আরেকটি অভিযোগের বিষয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় রংপুর বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পরিচালক দেওয়ান মোর্শেদ কামালকে সতর্ক করা হয়েছে।
সতর্ক করার বিষয়টি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিবকে জানাতে বলা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য না দেওয়ায় চট্টগ্রামের মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের এক মহাব্যবস্থাপককে সতর্ক করেছে কমিশন।