রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
Published : 19 Jan 2025, 06:49 PM
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আবেদন শুনানি শেষে রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
সংস্থার আদালত পরিদর্শক আমির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুদকের উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল এ আবেদন করেন। মামলা তদন্তের অংশ হিসেবেই নওফেলের আয়কর নথি জব্দের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে।
গণআন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে নওফেলকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জন ও ’অর্থপাচারের’ পাশাপাশি গণআন্দোলনে হত্যা-নিপীড়নের অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
’অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের মামলার বিষয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নওফেল ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ৪১টি হিসাব থেকে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা জমা এবং ৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদক বলছে, নওফেল তার আয়কর নথিতে ৫ কোটি ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ৮১০ টাকার স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। এর মধ্যে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ৬১৮ টাকার সম্পদের হিসাব পাওয়া যায়নি। জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা উপমন্ত্রী হিসেবে এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আয়কর নথি জব্দ চেয়ে আদালতে দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি ‘ঘুষ লেনদেন ও দুর্নীতির’ মাধ্যমে বিপুল অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার আয়-ব্যয়ের হিসাব ও আর কোনো সম্পদ রয়েছে কি না তা যাচাই করতে চায় দুদক।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সর্বকনিষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন।
তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।