বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় ৬ জন গ্রেপ্তার

বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রী নিয়ে ওয়াটার বাস ডুবে প্রাণহানির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ।

নৌ পুলিশের ঢাকা বিভাগের এএসপি আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার এবং ওয়াটার বাসটি যে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়, সেটিও জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বাল্কহেডের মাস্টার মো. শরিফুল ইসলাম (৩৫), চালক মো. আনছার আলী (৩৭), সুকানী মো. সজীব সরদার (২৭), লস্কর মো. সিয়াম বেপারী (২০), মো. সফিউল গাজী (২২) এবং বাবুর্চি মো. মাসুদ মুন্সি (৪৮)।

এএসপি জানান, এই ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ওয়াটার বাসটি।

বিআইডব্লিউটিসির ওয়াটার বাসটি সদরঘাটের ওপারে কেরানীগঞ্জের তেলঘাট থেকে শ্যামবাজারের পাশে লালকুঠি ঘাটে আসছিল।

দুর্ঘটনার পর অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও কয়েকজন নিখোঁজ থাকেন।

নৌ পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে চারজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

তারা হলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মোহাম্মদ আলিফ (১৪), দোহারের মোহাম্মদ ফাহিম (৩০) এবং আনুমানিক ৫০ বছর বছর বয়সী এক ব্যক্তি, যার পরিচয় জানা যায়নি।

প্রায় ৯ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সোমবার ভোর ৫টার দিকে ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

উদ্ধারের পর এর ভেতরে আর কোনো লাশ মেলেনি।

৯ ঘণ্টা পর টেনে তোলা হল ওয়াটার বাসটি

বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাসডুবি: ৩টি লাশ হাসপাতালে