জবানবন্দিতে তিনি কী বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে তার নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন কি না, সে বিষয়ে আদালত সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য মেলেনি।
Published : 03 Jun 2024, 11:55 PM
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতায় হত্যার ঘটনা বর্ণনা করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সেলেস্টি রহমান।
জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামরায় নেওয়া হয়।
নিয়ম অনুযায়ী তিনি জবানবন্দি দেবেন কি দেবেন না এ বিষয়ে ভাবার জন্য তিন ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। তিনি রাজি হলে বিচারক তার বক্তব্য রেকর্ড করেন।
রাত ৯ টা পর্যন্ত সেলেস্টি হাকিমের খাস কামরায় ছিলেন। পড়ে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তবে জবানবন্দিতে তিনি কী বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে তার নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন কি না, এ বিষয়ে আদালতের পুলিশ, তদন্ত সংস্থা বা অন্য কোনো কর্মচারীদের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ১১ মে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন।
এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে। বুধবার সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, নিউ টাউনের এক বাড়িতে খুন হয়েছেন এমপি আনার।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভারতীয় পুলিশের দেওয়া তথ্যে দেশে তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এই তিন জনের একজন হলেন সেলেস্টি রহমান। গত ২৪ মে তাকে এবং আমানুল্লা সাঈদ ওরফে শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া ও তানভীর ভুঁইয়াকে আদালতে তোলা হয়।
গত ২২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের যে মামলা করেছেন, তাতে গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাদেরকে।
সেদিন আদালতে কথা বলেন সেলেস্টি রহমান। তিনি দাবি করেন, এসব ঘটনার কিছুই তিনি ‘জানেন না’।
এমপি আনার হত্যা: সেলেস্টিকে নিয়ে যা বললেন আত্মীয়
আনার হত্যা: গ্রেপ্তার তিনজন ৮ দিনের রিমান্ডে
ভারতের ভিসা পেয়েছেন আনারের মেয়ে, ডিবির সংকেতের অপেক্ষা
পরে তিন জনকে আট দিনের রিমান্ডে পাঠান বিচারক। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরো পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তিন আসামিকে। রিমান্ডে সেলেস্টি জবানবন্দি দিতে রাজি হন।
গোয়েন্দা পুলিশ এখন পর্যন্ত যে বক্তব্য রেখেছে, তাতে আনার হত্যায় সেলেস্টির সম্পৃক্ততা উঠে আসেনি। তবে কলকাতায় যে বাড়িতে সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়, সেখানে তার উপস্থিতি ছিল। আনারকে তিনিই সেই বাড়িতে অভ্যর্থনা জানান বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তবে পুলিশের বর্ণনা অনুযায়ী, হত্যার সময় সেলেস্টি অন্য কক্ষে ছিলেন।
আনার হত্যায় প্রধান সন্দেহভাজন আখতারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে সেলেস্টির ঘনিষ্ঠতার খবরও এসেছে গণমাধ্যমে।