সীমা হামিদের ২০টি ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ টাকা জমা হওয়ার তথ্য পেয়েছে দুদক।
Published : 19 Jan 2025, 07:03 PM
সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর স্ত্রী সীমা হামিদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের আদালত পরিদর্শক আমির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সীমা হামিদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলা রয়েছে।
আয়কর নথি জব্দের আবেদনে দুদকের উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল বলেন, সীমা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৪ টাকার সম্পদ ভোগদখলে রেখেছেন। নিজ নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ টাকা জমা ও ১১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ টাকা উত্তোলনের তথ্য রয়েছে, যা ‘অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন’।
সীমার অর্থ-সম্পদ অর্জনের পেছনে স্বামী বিপুর ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করেছেন দুদকের এই কর্মকর্তা। আয়-ব্যয়ের সঠিক তথ্য ও অন্যান্য সম্পদ যাচাইয়ে তার আয়কর নথি জব্দের কথা আবেদনে বলেন তিনি।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিপুর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
ক্ষমতার পালাবদলের পর বিপু ও তার স্ত্রী ছাড়াও ছেলে জারিফ হামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। সেসব মামলায় বিপুকেও আসামি করা হয়েছে।
বিপুর বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়, তিনি ৩৬ কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৫৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন, যা তার তার আয়ের উৎসের সঙ্গে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’।
এ ছাড়া বিপু তার নিজের ৯৮টি ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩১৩ টাকা জমা ও ৩ হাজার ১৩০ কোটি ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭২৯ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ‘অস্বাভাবিক’ ও ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন করেছেন।
বিপুর ছেলে জারিফ হামিদের বিরুদ্ধে মামলায় ২০ কোটি ৮৭ লাখ ৬৬ হাজার ২০ টাকার ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জারিফ হামিদ তার বাবা নসরুল হামিদের ক্ষমতার ‘অপব্যবহার’ এবং ‘প্রভাব ও আর্থিক’ সহায়তার মাধ্যমে জানা আয়ের উৎসের সঙ্গে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ সম্পদ অর্জন করেছেন।
এছাড়া, জারিফ তার ২০টি ব্যাংক হিসাবে ২৭ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩১ টাকা জমা ও ১৭ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৭ টাকা উত্তোলন করেছেন, যা ‘অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক’ লেনদেন।
পুরনো খবর: