নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাসে পোশাক শ্রমিক গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার বাস চালক চান্দু মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
Published : 28 May 2015, 06:46 PM
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।
জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার রাতে সোনারগাঁও থানা পুলিশ সাভার বাস্টস্ট্যান্ড এলাকা থেকে চান্দুকে গ্রেপ্তার করে। চান্দু আড়াইহাজার উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
গত ১১ মে রাতে রূপগঞ্জের রপ্তানিমুখী ‘ফকির ফ্যাশন’ কারখানার ওই কর্মী কাজ শেষে কারখানার ভাড়া করা বাসে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসের ভেতর চালকসহ চার জন তাকে ধর্ষণ করে। পরে অচেতন অবস্থায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ফেলে যায়।
সকালে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওই পোশাক শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে বাস চালক চান্দু মিয়াসহ চার জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার পরপরই পুলিশ বাসের হেলপার রুবেলসহ বাসটিকে আটক করে। রুবেলও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।