পরীক্ষার আগের রাতে ফেইসবুকে যে প্রশ্ন পাওয়া যাচ্ছিল, সেই প্রশ্নেই নেওয়া হল এইচএসসির হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা।
Published : 18 May 2015, 05:39 PM
‘প্রাথমিক সমাপনীর প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত’
এইচএসসি: ঢাকা বোর্ডের ইংরেজি পরীক্ষা স্থগিত
সোমবার বেলা ১টায় পরীক্ষা শেষে বেরিয়ে একাধিক পরীক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একজন পরীক্ষার্থী রোববার রাত ২টা ৩৩ মিনিটে নিজের ফেইসবুক পেইজে এ পরীক্ষার প্রশ্ন তুলে দিয়ে মন্তব্যে লিখেছিলেন, এক বন্ধুর কাছ থেকে তিনি ওই প্রশ্ন পেয়েছেন।
পরীক্ষার পর মূল প্রশ্নের সঙ্গে আগের রাতে ফেইসবুকে আসা ৪০টি নৈর্ব্যক্তিক (বহু নির্বাচনী অভীক্ষা) প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
হিসাববিজ্ঞানে ৪০ মিনিটের ৪০ নম্বরের এই নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার পাশাপাশি ২ ঘণ্টায় ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
ওই পরীক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রশ্ন সত্যিই মিলে যায় কি না- তা যাচাই করতেই ফেইসবুকে আপলোড করেছিলাম। পরীক্ষায় দেখলাম শতভাগ মিলে গেছে।”
পরীক্ষা শেষে এই পরীক্ষার্থী আগের রাতে পাওয়া প্রশ্ন এবং পরীক্ষার মূল প্রশ্ন পাশাপাশি রেখে নিজের ফেইসবুকে দেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবু বক্কর ছিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদককে বলেন, “পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আপনার সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর আমরা বিষয়টি দেখব।”
ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শ্রীকান্ত কুমার চন্দ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে ওই পরীক্ষার্থীর ফেইসবুক আইডি জানতে চান।
পড়া বাদ দিয়ে গভীর রাতে একজন পরীক্ষার্থী কেন ফেইসবুকে ‘প্রশ্ন খুঁজে বেড়াচ্ছিল’ -সে প্রশ্নও তোলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
চলতি বছর এসএসসি ও এইচএসসিতে আর কোনো বিষয়ের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের বড় কোনো অভিযোগ না উঠলেও বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা ও নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে আলোচনা চলছে গত কয়েকবছর ধরেই।
২০১৪ সালের এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর স্থগিতও করা হয়।
গত বছর প্রাথমিক সমাপনীর সবগুলো পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ২০১৩ সালের প্রাথমিক সমাপনীর বাংলা বিষয়ের ৫৩ শতাংশ এবং ইংরেজির ৮০ শতাংশ প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তেই উঠে আসে।
পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ‘প্রমাণ’ তুলে ধরে গত বছর অধ্যাপক জাফর ইকবাল গণমাধ্যমে বেশ কয়েকটি নিবন্ধ লেখেন।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ নাকচ করে ‘সাজেশন কমন পড়ার’ দাবি করা হয়েছে।