প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসের খবর ‘ভিত্তিহীন’: মন্ত্রণালয়

চলমান প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের খবর গণমাধ্যমে এলেও মন্ত্রণালয় এ ধরনের সংবাদকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2014, 03:11 PM
Updated : 26 Nov 2014, 05:59 PM

বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে মন্ত্রণালয় লক্ষ্য করছে যে, পরীক্ষা শুরুর পর দিন থেকে অদ্যাবধি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার হচ্ছে।

“প্রচারিত প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি মন্ত্রণালয় প্রথম থেকে গুরুত্ব সহকারে বিচার বিশ্লেষণ ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।”

গত রোববার থেকে শুরু হওয়া প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষার আগে হুবহু প্রশ্ন পাওয়া যাওয়ার খবর গণমাধ্যমে আসে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রশ্ন  ফাঁস হলে তার দায় নিজের কাঁধে নেওয়ার কথা বলে জানান, কোনো জেলা থেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।   

ফেইসবুকে সাজেশন আকারে পাওয়া প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্নের মিল পাওয়া যায়নি বলেও মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।

“ফেইসবুকে পাওয়া প্রশ্ন/সাজেশন এবং মূল প্রশ্নের সঙ্গে পুঙ্খাণাপুঙ্খভাবে মিলিয়ে দেখা হয়। প্রযুক্তিগত ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে এ ধরনের ঘটনার উদ্ভব কি না, তাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।”

“সার্বিক পর্যালোচনা শেষে প্রতীয়মান হয় যে, ফেইসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রশ্নের সাথে সমাপনী পরীক্ষায় সরবরাহকৃত প্রশ্নের কোনো সামঞ্জস্য নেই। উহাতে সুস্পষ্টভাবে প্রতীতি জন্মেছে যে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংবাদটি একটি গুজব, ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং তথ্য বিভ্রাটও বটে।”

ক্ষুদে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে হীন, অসত্য, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সন্দেহমূলক সংবাদ প্রচার না করা এবং শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শেষ করতে সবার সহযোগিতা চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

একই সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদেরও প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে অহেতুক উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধও জানিয়েছে তারা।

প্রাথমিকের আগে অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষায়ও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও তাকে গুজব বলে উড়িয়ে দেয়, তবে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ তুলে ধরে গণমাধ্যমে লিখেছেন।    

এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩১ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।

দেশের ছয় হাজার ৭৯১টি এবং দেশের বাইরে ১১টি কেন্দ্রে পঞ্চম শ্রেণির ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৪ জন এবং মাদ্রাসার তিন লাখ পাঁচ হাজার ৭২১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।