আদালতে গিয়েও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রার্থী হতে বিফল হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, এখন তার ছেলে তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতাও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
Published : 06 Apr 2015, 08:47 PM
বাবার মতোই ঢাকা উত্তরে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন ১৭টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত তাবিথ। ইসির যাচাইয়ে মিন্টু আটকে যাওয়ার পরও উৎরে গিয়েছিলেন তাবিথ, এখন তার বিরুদ্ধে উঠেছে ঋণ খেলাপের অভিযোগ।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপের অভিযোগ এনেছে সোনালী ব্যাংক।
“রিটার্নিং কর্মকর্তা এ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ করলেও এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে শনিবার। আপিল কর্তৃপক্ষ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এর শুনানি করবেন।”
আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আপিল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার জিল্লার রহমান।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল করলে তিনি আপিল করেন। তবে জিল্লার রহমান রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষেই রায় দেন। এরপর আদালতে রিট আবেদন করেও পক্ষে আদেশ পাননি বিএনপির এই নেতা।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মিন্টুর ছেলে তাবিথ মাল্টিমোড গ্রুপের উপ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ঋণখেলাপি প্রমাণিত হলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না।
ঢাকা উত্তরে মিন্টু ছাড়া বিএনপির আর কোনো নেতা মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তার মনোনয়নপত্র বাতিলের পর বিএনপি ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে কাউকে সমর্থনের কথা এখনও জানায়নি।
মিন্টুর প্রার্থিতা বাতিল হলে তার ছেলে তাবিথকে বিএনপি সমর্থন করতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে গণমাধ্যমে। বিএনপিঘনিষ্ঠ দল বিকল্পধারার নেতা মাহি বি চৌধুরীকে সমর্থনের বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে।
ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ মেয়র পদে সমর্থন দিয়েছে ব্যব্সায়ী আনিসুল হককে। তবে দলের সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরীও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
তাবিথ রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত নন। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামায় তিনি নিজের বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন সোয়া কোটি টাকা।
তার অস্থাবর সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে ১৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার বন্ড ও শেয়ার। অন্যান্য খাতে রয়েছে আরও ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পদ। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৬০ ভরি স্বর্ণ।