ট্যাঙ্কার ডুবে সুন্দরবনের নদী-খালে ছড়িয়ে পড়া জ্বালানি তেলের দূষণ নিয়ন্ত্রণে ১০ হাজার লিটার রাসায়নিক নিয়ে সেখানে পৌঁছেছে কান্ডারি-১০ নামের একটি জাহাজ।
Published : 11 Dec 2014, 03:35 PM
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জাহাজটি শেলা নদীতে পৌঁছায় বলে চট্টগ্রাম বন্দরের বোর্ড সদস্য কমডোর এম শাহজাহান জানান।
জাহাজে প্রায় ১০ হাজার লিটার ‘অয়েল স্পিল ডিসপারসেন্ট’ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই রাসায়নিক পানির উপরিতলে ভাসমান তেলের ওপর ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এতে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভাসমান তেল নিস্ক্রিয় হয়ে অবশেষ তলদেশে নেমে যাবে।”
তেল দূষণ নিয়ন্ত্রণে গত বুধবার বেলা ১টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কান্ডারি-১০ জাহাজটি সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরবনের শেলা নদীতে ‘টোটাল’ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সাউদার্ন স্টার-৭ নামের তেলবাহী ট্যাঙ্কারের একপাশের খোল ফেটে যায় এবং সেটি ডুবতে শুরু করে।
ট্যাঙ্কারটি গোপালগঞ্জের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য খুলনায় পদ্মা অয়েল ডিপো খেকে তিন লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৪ লিটার ফার্নেস অয়েল নিয়ে যাচ্ছিল।
ওই ট্যাঙ্কারে থাকা প্রায় সব তেল বেরিয়ে সুন্দরবনের প্রায় ৩৪ হাজার হেক্টর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে বলে বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে নদীতে ডুবে যাওয়া ট্যাঙ্কারটি বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি টেনে এক কিলোমিটার দূরে একটি চরে নিয়ে রাখা হয়েছে।
আর তিন দিনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া তেল অপসারণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে মংলা বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর হাবিবুর রহমান ভূইয়া জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,তেল অপসারণে করণীয় নির্ধারণে বৃহস্পতিবার সকালে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান শামসুজ্জোহা খন্দকারের সভাপতিত্বে এক সভা হয়। তাতে স্থানীয় জেলেদের সহায়তা নিয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে তেল অপসারণের একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হার্বার মাস্টার আকতারুজ্জামান জানান,দুপুরের পর তেল অপসারণের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তারা।