জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী ও একজন সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন, যাদের মধ্যে দুজন দশম জাতীয় সংসদেরও সদস্য।
Published : 21 Aug 2014, 03:42 PM
বর্তমানের কোনো সাংসদের বিরুদ্ধে এটাই দুদকের প্রথম মামলা।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও পটুয়াখালীর সাংসদ মাহবুবুর রহমান ও কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি।
দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, বৃহস্পতিবার কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে অনুমোদন দেয়ার পর বিকালে রমনা থানায় এসব মামলা দায়ের হয়।
দুদকের উপপরিচালক শেখ নাসিরউদ্দিন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মান্নানের বিরুদ্ধে; উপ পরিচালক আবদুস সোবহান সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুরের বিরুদ্ধে এবং উপপরিচালক খায়রুল হুদা সাংসদ বদির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মান্নান খানের বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়েছে, হলফনামায় দেয়া সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান হলফনামায় যে সম্পদের কথা বলেছেন তার বাইরে আরো এক কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার নগদ টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক।
এছাড়া তিনি পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি জমি তিনি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন বলেও মামলায় বলা হয়েছে।
কক্সবাজারের সাংসদ আব্দুর রহমান বদি নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়েছে।
অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির অভিযোগে দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনী হলফনামাকে ভিত্তি করে গত ২২ জানুয়ারি কমিশনের এক বৈঠকে গত সরকারের সাত মন্ত্রী-এমপির সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরুর প্রায় আটমাস পর তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলো।
এই তিনজনের বাইরে মহাজোট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, ঢাকার সংসদ সদস্য আসলামুল হক, রাজশাহীর সংসদ সদস্য এনামুল হক এবং সাতক্ষীরার সংসদ সদস্য এম এ জব্বারের সম্পদ অনুসন্ধান করছে দুদক।
সাবেক পূর্ত প্রতিমন্ত্রী মান্নান খান দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলামের কাছে পরাজিত হন। বাকি সবাই বর্তমান সংসদে জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন।