এর মধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 09 May 2024, 07:19 PM
বরিশালের বাকেরগঞ্জে উপজেলা পরিষদের ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বাকেরগঞ্জ থানায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা ও পুলিশ পৃথক দুইটি মামলা করেছে বলে ওসি আফজাল হোসেন জানিয়েছেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ তার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হন।
“তারা ফলাফল না মেনে আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় পুলিশ রক্ষা করতে এলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়।”
এতে তিনিসহ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় একমাত্র নামধারী সাইফুল ইসলাম ডাকুয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৭০ জনকে আসামি করেছেন।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পরাজিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এসআই নাসির উদ্দিন, এএসআই আরিফুর রহমানসহ গুরুতর আহত পাঁচ জন এখনও চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় এসআই ফারুক খান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ফল ঘোষণার পর পরাজিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া ও সমর্থকরা উপজেলার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণ করা হয়। তখন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকেও শারীরিকভাবে আঘাত করে।
পরে প্রার্থীকে উপজেলা মিলনায়তনে ডেকে এনে ফলাফল নিয়ে আপত্তি থাকলে আপিল করাসহ নানা আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রার্থী ও সমর্থকরা না মেনে মিলনায়তনে থাকা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে কিল-ঘুষি লাথি দিয়ে বেধড়কভাবে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে রক্ষা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানিয়েছেন, প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থী ও তার সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা করেছে। এতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পুলিশ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তা বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা করেছে।”
এ বিষয়ে পরাজিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া অভিযোগ করে বলেন, “উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ভোট কারচুপির মাধ্যমে স্থানীয় সংসদ সদস্যের আপন ছোট ভাই সালাম মল্লিককে বিজয়ী ঘোষণা করেছে।
“এ সময় আমার সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে পুলিশ নির্বিচারে নারী-পুরুষদের উপর লাঠিচার্জ চালায়। এ সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা দেখিয়ে আমার একজন সমর্থককেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।”