আগামী সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কার করা না হলে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় গাড়ি না চালানোর হুমকি দিয়েছেন পরিবহন মালিকরা।
Published : 10 Jul 2014, 04:23 PM
আগামী শনি থেকে সোমবারের মধ্যে মহাসড়ক সংস্কার করা না হলে মঙ্গলবার থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
রোজা ও ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক শেষে পরিবহন মালিকরা সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবস্থা খুবই করুণ। এ অবস্থা চলতে থাকলে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি হবে। এছাড়া খানাখন্দে ভরা এ সড়কে চলতে গিয়ে যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে।”
ঈদে যাত্রী চলাচল নির্বিঘ্নে করতে তারা এ ঘোষণা দিয়েছেন দাবি করে কফিল উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহে যোগাযোগমন্ত্রী সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন ঘটেনি।
পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠকে সড়ক সংস্কার ছাড়াও ঈদে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নিরাপদ রাখাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে পুলিশ সুপার হাফিজ আক্তার ছাড়াও বন্দর ট্রাক মালিক সমিতি, কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতিসহ পরিবহন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ জুন সড়ক ও জনপথের (সওজ) চট্টগ্রামের বিভাগীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রশাসন ও পরিবহন নেতরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুরবস্থা তুলে যোগাযোগমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।
তারা জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে চার লেন প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজের জন্য মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিন দীর্ঘ যানজট হচ্ছে। পাশাপাশি পুরনো সড়কে খানা-খন্দের কারণে দুর্ঘটনা ও যানজট বাড়ছে।
মহাসড়কের ফেনী, মিরসরাই, কুমিরা ও সীতাকুণ্ড অংশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তাই সড়কপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাতায়াতে এখন গড়ে ১৭ থেকে ২০ ঘণ্টা সময় লাগে বলে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও শ্রমিক নেতারা জানান।
ওই সভার সুপারিশ অনুসারে যোগাযোগমন্ত্রী মহাসড়কে যানজট নিরসন ও সংস্কার কাজ সমন্বয়ের জন্য সওজ কার্যালয়ে পরদিন থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার ঘোষণা দেন।
একই সঙ্গে সড়ক মেরামতকারী ভ্রাম্যমাণ দলের ২৪ ঘণ্টা মহাসড়কে থাকা, নষ্ট গাড়ি সরাতে প্রয়োজনে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ক্রেন নেয়ার কথাও বলেন মন্ত্রী।