আদালতের নির্দেশের ৫৪ ধারায় আটক নারায়ণগঞ্জে র্যাব-১১ এ থাকা নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এম এম রানাকেও ৭ খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
Published : 25 May 2014, 06:33 PM
গত ১৭ মে রানাকে ধরার একদিন আগে আটক র্যাবে তার দুই সহকর্মী তারেক সাঈদ মোহাম্মদ এবং আরিফ হোসেনকে হত্যামামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ।
রানাকে আটকের পর তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের হেফাজতে নেয়া হয়েছিল। তবে এরপর আদালতের নির্দেশে তারেক ও আরিফকে হত্যামামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রানার রিমান্ডের সময়সীমা পার হওয়ার পর রোববার তাকে হত্যামামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুনরায় ১০ দিন হেফাজতের আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা মামনুর রশীদ মণ্ডল।
সেই আবেদনের শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিন আট দিন রিমান্ডের নির্দেশ দেন।
কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের পরিবারের করা দুটি হত্যামামলায়ই রানাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
র্যাব-১১ এ নারায়ণগঞ্জ শহরের পুরাতন কোর্ট ক্যাম্পের অধিনায়ক ছিলেন সাবেক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রানা। সেখানেই সাতজনকে হত্যা করা হয় বলে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলামের দাবি।
নজরুলসহ সাত হত্যাকাণ্ডে র্যাবের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলে র্যাবে থাকা সামরিক বাহিনীর এই তিন কর্মকর্তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে আনা হয়, পরে পাঠানো হয় অবসরে।
এরপর হাই কোর্টের নির্দেশের কয়েকদিন পর তাদের ৫৪ ধারায় আটক দেখানো হলে তা নিয়ে ক্ষোভ জানান নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই তিনজনকে কেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিল নারায়ণগঞ্জের আদালত।
এরপরই একে একে তিনজনকে হত্যামামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হল।