নজরুল ইসলামসহ সাত হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজন কাউন্সিলর নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা শীতলক্ষ্যা নদীর তীর থেকে উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ ও নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসন।
Published : 06 May 2014, 11:45 AM
দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ দখল থাকলেও সাত খুনের আসামি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূর হোসেন পালিয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হল।
নূর হোসেন, তার ভাই নূরুজ্জামান জজ মিয়া ও অন্যান্য সহযোগীরা শীতলক্ষ্যার তীরে অর্ধশতাধিক অবৈধ টং ঘর তৈরি করে বালু ও পাথরের ব্যবসা করতেন।
মঙ্গলবার সকালে তাদের এসব ঘর উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়ে চলে বিকাল পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের ঊর্ধ্বতন উপ-পরিচালক আলমগীর কবীর জানিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এসময় কাঁচপুর ল্যান্ডিং স্টেশনের পাশে দখলকৃত জায়গা থেকে বালু সরিয়ে নদীর তিন একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন জানান, নূর হোসেনের নেতৃত্বে কাচপুরে শীতলক্ষ্যা দখল ও ভরাট করে অবৈধ বালু ও পাথরের ব্যবসা পরিচালিত হতো।
এর আগে কয়েকদফা উচ্ছেদ অভিযান চালালেও তারা পুনরায় নদী দখল করে অবৈধ বালু ও পাথরের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, এর আগে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গেলেও নূর হোসেন এবং তার সহযোগীদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল সরকারি কর্মকর্তাদের। নদীতীরে হাঁটার পথ নির্মাণের কাজও বন্ধ করে দিয়েছিল এই দুর্বৃত্তরা।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিল। এসময় নূর হোসেনের ভাই কিংবা তার সহযোগীদের দেখা যায়নি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মতিন জানান, এর আগে নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছিল।