বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে যাওয়াকেই কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 12 Nov 2013, 11:00 PM
বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন মাইলফলক অর্জন উপলক্ষে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। আমরা লক্ষ্য স্থির করে কাজ করে গেছি।”
বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে কেন্দ্রে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর হাতিরঝিলে বর্ণিল আতশবাজি ও লেজার শোর প্রদর্শনী হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ইশতেহারে ২০১৩ সালের মধ্যে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করি।
“অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। তারপরও আমরা ধৈর্য ধরে কাজ করেছি।”
মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১০ হাজার ২১৩ মেগাওয়াট। বছর শেষে তা ১০ হাজার ৯৭৯ মেগাওয়াটে উন্নীত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী জানুয়ারিতে আরো ৭৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।
বিদ্যুৎ খাতে এই উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান সরকার প্রধান। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এক্ষেত্রে তিনি কোনো কার্পণ্য করেননি।”
এই সরকারের শুরুতেই বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর সমালোচনা উঠেছিল।
তার জবাবে মুহিত অনুষ্ঠানে বলেন, “কুইক রেন্টাল না থাকলে উন্নয়ন এ জায়গায় পৌঁছাতে পারত না।”
“আগামী গ্রীষ্মের পর লোড শেডিং বলে শব্দটি থাকবে না,” বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সাতটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানস্থলে বড় পর্দায় হাতিরঝিলের আলোক উৎসব দেখানো হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী এসএমএসের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর বিদ্যুৎ বিল আদায় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়ার একজন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল আদায়ও করেন।
সেখানে স্থানীয় সাংসদ সিমিন হোসেন রিমিসহ স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ হাসিনা এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ফোনে এই বিল আদায় করার পর সিমিন হোসেন রিমিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এসে গেছে?”
সিমিন হোসেন রিমি বলেন, “হ্যাঁ, এসে গেছে।”
শেখ হাসিনা উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, “এটাই হল ডিজিটাল বাংলাদেশ।
“যারা আমাদের ২০০৮ সালে ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছে; আমি তাদের অভিনন্দন জানাই।”
শেখ হাসিনা বলেন, “দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর এলাকায় এই কার্যক্রম শুরু করতে পেরে আমি খুশি। তুমি (রিমি) তার মেয়ে হিসাবে ওখানে কাজ করছো। আমি এদিকে আমার বাবার মেয়ে হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি।”
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূইয়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব আবুল কালাম আজাদ, জ্বালানি বিভাগের সচিব মোজাম্মেল হক খান এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার হোসেন।