হল-মার্ক প্রতিবেদন ‘চূড়ান্ত’

‘হল-মার্ক দুর্নীতির’ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা।

আগামী সোমবার নাগাদ তা জমা হবে বলে দুদক কমিশনার এম সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “চুড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হয়েছে। এখন এটি রয়েছে দুদকের মহাপরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদের কাছে। তিনি পর্যালোচনা করছেন এবং জানিয়েছেন রোববারের মধ্যে তা শেষ হবে।”

রোববার পর্যালোচনা শেষে সোমবার তা কমিশনে জমা হবে বলে জানান কমিশনার।

২০১০ থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে হল-মার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ঘটনা প্রকাশ পেলে গত বছর তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল ওঠে।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০১২ সালের অগাস্টে আর্থিক খাতে বড় এই কেলেঙ্কারির ঘটনার অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করে দুদক।

প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে গত বছর ৪ অক্টোবরে হল-মার্ক গ্রুপের পরিচালক তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম ও মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদসহ সোনালী ব্যাংকের ২০ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করে দুদক।

এরপর তানভীর, তা স্ত্রী জেসমিন ও ভায়রা তুষার গ্রেপ্তার হন। এর মধ্যে জেসমিন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন সম্প্রতি।

গত অগাস্টের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা হওয়ার কথা থাকলেও কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের অসহযোগিতায় নির্ধারিত সময়ে তা জমা দেয়া সম্ভব হয়নি বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন হল-মার্ক তদন্ত দলের প্রধান দুদকের উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদিন শিবলী।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা কিছুদিন আগেই মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন পেশ করেছি। যত দ্রুত এই প্রতিবেদন কমিশনে জমা হবে, আমাদের মামলা পরিচালনায় সুবিধা হবে।”

হল-মার্ক তদন্তে ৭ ব্যাংকের ‘অসহযোগিতা’

তদন্তে ঝুলে আছে হল-মার্ক ও ডেসটিনি কেলেঙ্কারি