রোববার তার পক্ষে আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক এ রিট আবেদন করেন বলে শরীফ নিজেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
আইনজীবী ইশতিয়াক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিট আবেদনটি নিয়ে শুনানির জন্য আগামীকাল আদালতের দ্বারস্থ হব, যদি আদালত গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন তাহলে কালই শুনানি হতে পারে।”
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর করা রিট আবেদনটি আদেশের জন্য আগামী ১৫ মার্চ দিন রেখেছে হাই কোর্টের একই বেঞ্চ।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর স্বাক্ষর করা এক প্রজ্ঞাপনে কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের আদেশ জারি হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮- এর বিধি ৫৪ (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।
“তিনি বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা (যদি থাকে) পাবেন। কমিশনের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো। যা ১৬ ফেব্রুয়ারি অপরাহ্ন থেকে কার্যকর গণ্য হবে।”
পরের দিন এই আদেশ প্রত্যাহার ও ৫৪(২) বিধি বাতিলের দাবিতে দুদক সচিবকে স্মারকলিপি দেন কমিশনের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ সংস্থাটির অন্যান্য দপ্তরে মানববন্ধন হয়।
শরীফ দাবি করেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রভাবশালীদের রোষে পড়ে তাকে চাকরি হারাতে হয়েছে।
পরে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন ২০ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, শরীফ উদ্দিনকে ‘শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে’ বিধি মোতাবেক চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
পরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন চাকরি বিধিমালা-২০০৮ এর ৪৮ বিধি মোতাবেক অপসারণ আদেশ পুননিরীক্ষণ করতে কমিশনে আবেদন করেন শরীফ।
পুরনো খবর