দুদক কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতি নিয়ে নানা আলোচনা

বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করে খবরে আসা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণের ঘটনা নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2022, 06:34 PM
Updated : 17 Feb 2022, 06:55 PM

বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ের সামনে এবং কমিশনের আরও কয়েকটি সমন্বিত জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করে তাকে অপসারণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

দুদক বলছে, ‘অব্যাহতভাবে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করায়’ কমিশনের ‘ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে’ শরীফ উদ্দিনকে নোটিস ছাড়াই চাকরিচ্যুত করতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছে।

অন্যদিকে এ ঘটনায় দুদকের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিশ্চিত করার জন্য শরীফ উদ্দিনের চাকুরিচ্যুতি নিয়ে ‘সৃষ্ট ধোঁয়াশা’ দূর করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া এবং ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তিসহ অনিয়মের বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করে আলোচনায় আসেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন।

বুধবার দুদক কার্যালয় থেকে শরীফকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এর ১৬ দিন আগে ‘হত্যা ও চাকরি খাওয়ার হুমকি’ পাওয়ার কথা জানিয়ে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন শরীফ।

দুদকের এই কর্মকর্তাকে অপসারণ করে দেওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এটা জারির দিন থেকে তার অপসারণের আদেশ কার্যকর হবে এবং বিধি অনুযায়ী তিনি ৯০ দিনের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন।

এই আদেশ বাতিল করে কমিশনের কর্মকর্তাদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুদক সচিব মো.মাহবুব হোসেনকে স্মারকলিপি দেন শরীফের সহকর্মীরা।

সেখানে বলা হয়, “শরীফ উদ্দিনের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের কারণে সংক্ষুব্ধ পক্ষগুলো বিভিন্ন সময়ে তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।

“৫৪(২) বিধি প্রয়োগের মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ প্রকারান্তরে দুর্নীতিবাজদের সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করার সমার্থক।”

২০০৮ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুযায়ী কোনো কারণ না দর্শিয়ে কোনো কর্মচারীকে ৯০ দিনের নোটিস দিয়ে অথবা ৯০ দিনের বেতন পরিশোধ করে চাকরি থেকে অপসারণ করার সুযোগ আছে।

তবে ৫৪ বিধির কার্যকারিতার বিষয়টি আপিল বিভাগে ‘বিচারাধীন’ উল্লেখ করে ওই বিধি অনুযায়ী শরীফকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়াকে ‘বেআইনি’ বলে স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, “এই বিধি প্রয়োগের মাধ্যমে উপসহকারী পরিচালক মো. শরিফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়, যা অসাংবিধানিক, বে-আইনি ও সাধারণ আইনের আওতায় মানবাধিকার পরিপন্থি।”

শরীফ নিজেও কোনো ধরনের 'কারণ দর্শাও নোটিস না দিয়ে’ অপসারণের বিষয়টিকে ‘অসাংবিধানিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছেন, ‘প্রভাবশালী মহলের’ রোষানলের শিকার হয়েছেন তিনি।

“সাত বছরের চাকরি জীবনের সাড়ে তিন বছর চট্টগ্রামে কাজ করেছি। এ সময় ভুলভ্রান্তি হতে পারে, কিন্তু চাকরি যাবার মতো কোনো কাজ আমি করিনি।”

সহকর্মীরা কী বলছেন?

শরীফকে চাকরি থেকে অপসারণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে দুপুর ১২টার পর ১৫ মিনিট মানববন্ধন করেন তার সহকর্মীরা।

ঢাকার বাইরে কমিশনের আরও কয়েকটি সমন্বিত জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও একই কর্মসূচি পালন করেন।

ঢাকায় মানববন্ধনে দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “গতকাল (বুধবার) আমাদের এক সহকর্মীকে ৫৪(২) ধারায় বিধি অনুযায়ী (দুদক চাকরিবিধি) একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

“আমরা ইনভেস্টিগেশন-ইনকোয়ারি করতে গিয়ে বেশ কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কাজ করতে গিয়ে আমাদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।”

গত বছরের জুন মাসের ১০ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে বেশ কয়েকটি আলোচিত মামলা দায়েরের পর চট্টগ্রাম থেকে দুদক কর্মকর্তা শরীফকে পটুয়াখালীতে বদলির আদেশ জারি হয়। ওই আদেশ নিয়েও সে সময় নানা আলোচনা হয়েছিল।

দুদক কর্মকর্তা নজরুল বলেন, “একটি ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, বেইজড অন ইনভিজিলেশন অ্যান্ড ইনকোয়ারি, চাইলেই তাড়াহুড়া করে দেওয়া যাবে না। আমরা চাইছি এই জিনিসগুলো যেন তারা বুঝে সমাধান দিক।”

দুদক সচিবের ব্যাখ্যা

দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের অপসারণ এবং তার সহকর্মীদের মানববন্ধনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কমিশন সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিষ্ঠানের ‘ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থেই’ এ সিদ্ধান্ত।

“তিনি এই দুর্নীতি দমন কমিশনের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী যা মানা প্রয়োজন সেগুলো না মেনে অব্যাহতভাবে এই বিধির পরিপন্থি কাজ করে যাচ্ছিলেন। যার কারণে কমিশনের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে এবং সকলে যাতে সঠিকভাবে কাজটি করেন সে লক্ষ্যে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

“এটি শুধু কোনো ব্যক্তির বিষয় নয়, এটি হল প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি রক্ষা এবং দুদক আইন এবং চাকরি বিধিমালা যাতে আমরা সবাই মেনে চলি, সেটির আলোকেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আছে কি না, জানতে চাইলে সচিব বলেন, “উনি চাকরি বিধি-বিধানের বাইরে গিয়ে অনেক কাজ করেছেন।

একই কথা বলেছেন দুদক চেয়ারম্যান মো. মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ। তার ভাষায়, শরীফ উদ্দিন এমন কিছু করেছিলেন, যাতে তারা ওই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সে যে কাজকারবার করেছে, তাতে তাকে নোটিস দিয়ে অপসারণ করার প্রয়োজন নেই। সে এমন অনিয়ম করেছে, তাকে সরাসরিই অপসারণ করতে হয়েছে।”

কমিশনের ভাষ্য, তদন্তনাধীন এক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ করার বিষয়টি কমিশনের কাছে গোপন রেখেছেন তিনি। এছাড়া আদালতের ‘ভুয়া’ আদেশ ব্যবহার করা, চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালী বদলির পর সেখানে যোগদানে বিলম্ব, বিভিন্ন অনুসন্ধান ও তদন্তের নথিপত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে যথাসময়ে হস্তান্তর না করা, এক অভিযানে ৯৩ লাখ টাকা উদ্ধারের পর আইন অনুযায়ী তা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে দীর্ঘদিন নিজের হেফাজতে রাখার অভিযোগ রয়েছে শরীফের বিরুদ্ধে।

এসব বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগের পাশাপাশি তিন অভিযোগের বিভাগীয় মামলা তদন্ত চলছে বলে কমিশনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, “আরও কমপ্লেইন আসতেছিল, অনেকগুলো এসেছে। একটি তদন্তে গিয়ে টাকা উদ্ধারকালে তিনি যে কার্যক্রম করেছিলেন তাতে হাই কোর্ট বিভাগ থেকেও সে বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। সবকিছু মিলিয়ে চাকরিবিধি পরিপন্থির কারণে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

শরীফ কী বলছেন?

শরীফ উদ্দিন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীতে উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার আগে সাড়ে তিন বছর ছিলেন চট্টগ্রামে।

সে সময় রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ও ভোটর তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক, সেসব মামলার বাদী ছিলেন শরীফ।

পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা সনদ দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেও তিনি আলোচিত হন।

অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) বিভিন্ন অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করেন শরীফ।

পরে অভিযোগের ‘সত্যতা পেয়ে’ কেজিডিসিএল এর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সাবেক বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানসহ কয়েকজনকে আসামি করে গত বছরের ১০ জুন মামলা করেন তিনি।

গতবছর জুন মাসের ১০ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে বেশ কয়েকটি আলোচিত মামলা দায়েরের পর চট্টগ্রাম থেকে তাকে পটুয়াখালীতে বদলির আদেশ জারি হয়। ওই আদেশ নিয়েও সে সময় নানা আলোচনা হয়েছিল।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তখন বলা হয়েছিল, এক কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করায় নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে শরীফকে পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে। এর আট মাসের মাথায় শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকেই অপসারণ করা হল।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও তদন্ত শুরু করেছিলেন শরীফ উদ্দিন। সে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।

পটুয়াখালীর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মরত থাকলেও শরীফের পরিবার থাকতেন চট্টগ্রাম নগরীতে। গত ৩০ জানুয়ারি সেখানে গিয়ে পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা ‘হত্যার হুমকি দিয়েছেন’ বলে খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন শরীফ উদ্দিন। ওই জিডির তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।

চাকরি হারানোর পর বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এখন তিনি নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়েই শঙ্কিত।

“আমার এ অপসারণ অসাংবিধানিক। আমার বিরুদ্ধে কমিশনের কিছু অনুসন্ধান চলমান আছে। আমি সেগুলোর সন্তোষজনক জবাবও দিয়েছি। চট্টগ্রাম থেকে বদলি আদেশ হওয়ার পরপরই আমি কমিশনকে জানিয়েছিলাম, প্রভাবশালী মহল আমার বিরুদ্ধে লেগেছে।”

শরীফ বলেন, চট্টগ্রামে থাকাকালে কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা দুর্নীতির ঘটনায় ১৫৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন তিনি, যেখানে অ্যাডমিন ক্যাডার ও পুলিশ কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও ছিলেন।

“এসব বিষয়ে কাজ করতে গিয়ে আমি প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়েছি। আমার বাসায় গিয়ে একটি মহল হুমকি দিয়েছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল। এর ১৬ দিনের মধ্যেই আমার অপসারণ আদেশ হয়েছে।”

সরকারি কোষাগারে টাকা জমা না দেওয়া প্রসঙ্গে শরীফের দাবি, টাকা নিজের কাছে রাখার বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ‘জানতেন’। পটুয়াখলীতে যাওয়ার আগে তিনি সব ‘বুঝিয়ে দিয়ে’ যান।

‘ধোঁয়াশা’ দূর করার  আহ্বান

দুদকের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের চাকুরিচ্যুতি নিয়ে সংস্থার ভেতরে এবং বাইরে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে মন্তব্য করে ‘ধোঁয়াশা’ দূর করার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টিআইবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,“শরীফ উদ্দিন চট্টগ্রামে কর্মরত অবস্থায় দক্ষতা ও সাহসের সাথে কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণে বিশাল অঙ্কের দুর্নীতি, রোহিঙ্গা নাগরিকদের এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতি, কর্ণফুলী গ্যাসে অনিয়মসহ বেশ কিছু আলোচিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ও মামলা পরিচালনায় মূল ভূমিকায় ছিলেন।

“এসব অভিযান ও মামলায় সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মধ্যে যাদের বিরাগভাজন হচ্ছিলেন এই কর্মকর্তা, তাদের চাপের কারণেই কী শরিফ উদ্দিনকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালী বদলি করা এবং সবশেষ চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে- এমন প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে বলে মনে করে টিআইবি।”

টিআইবি বলছে, চাকরিবিধি অনুযায়ী কোনো কর্মীকে অপসারণের এখতিয়ার দুদকের থাকতে পারে, তবে এভাবে অপসারণের পথ বেছে নিতে হল কেন,তা ‘দুদকের কাছ থেকে জানার অধিকার’ জনগণের রয়েছে।