আরেক মামলায় কাদের রিমান্ডে

ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিচয়দানকারী আব্দুল কাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম মামলার তদন্তের স্বার্থে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন।

গত ৮ অক্টোবর আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর পল্লবী থানার একটি মামলায় তাকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

ওই মামলায় রিমান্ড শেষে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দায়ের করা মামলায় কাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) নূরে আলম সিদ্দিকী।

আবেদনে বলা হয়, “আব্দুল কাদের একজন আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি নিজেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিচয় প্রদান করে এবং তার ব্যবহৃত গাড়িতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার ব্যবহার করে থাকেন। মানুষকে লোন পাস করে দেওয়ার কথা বলে এবং ফ্ল্যাট বিক্রির কথা বলে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন।

“তার অফিসে লোকজন আসলে লাখ টাকার বিনিময়ে দেখা করতে হয়। তিনি ওয়াকিটকি ব্যবহার করে পিছনে বডিগার্ড নিয়ে চলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে ছবি তুলে তা প্রদর্শন করে নিজেকে সিআইপি হিসেবে দাবি করেন।”

আদালতে আব্দুল কাদেরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

গত ৭ অক্টোবর ঠিকাদার কনস্ট্রাকশনের মালামাল সরবরাহকারী শেখ আলী আকবর প্রতারণা করে ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কাদেরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

গ্রেপ্তার কাদের চৌধুরী বড় একজন প্রতারক: গোয়েন্দা পুলিশ  

কাদের আমার সঙ্গেও ‘প্রতারণা’ করেছে: মুসা বিন শমসের