বিচারক ছুটিতে থাকায় রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলার রায় পিছিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
Published : 12 Oct 2021, 10:11 AM
ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে মঙ্গলবার এ মামলার রায়ের তারিখ ধার্য ছিল।
কিন্তু তা হচ্ছে না জানিয়ে ট্রাইবুনালের পিপি আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিচারক ছুটিতে আছেন। রায় প্রস্তুত হয়নি। রায়ের তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
দুই তরুণীকে ধর্ষণের আলোচিত এই মামলার পাঁচ আসামি হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল।
আসামিরা সবাই জামিনে ছিলেন। ৩ অক্টোবর সব আসামিদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে চার বছর আগের এই মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।
ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পর ৬ মে বনানী থানায় মামলাটি হয়। ওই দুই তরুণীর অভিযোগ, ওই হোটেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাতভর আটকে রেখে সাফাত ও নাঈম তাদের ধর্ষণ করেন। অন্য তিনজন তাতে সহায়তা করেন।
মামলার কয়েকদিনের মধ্যে ১১ মে সিলেট থেকে সাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হন সাদমানও। অন্য আসামিদেরও এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই ঘটনায় তুমুল আলোচনার মধ্যে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখায় চলে শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযান। বেআইনি সোনা পাওয়ায় দিলদারের বিরুদ্ধে মামলাও হয়।
ধর্ষণের মামলা হওয়ার পরের মাসেই ৭ জুন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তারপর বিচার শেষ হতে চার বছর লেগে গেল।
রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের শাস্তি চাইলেও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ, সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার ইন্ধনে এই মামলাটি হয়েছে।
সাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হওয়ার কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে পিয়াসার বিচ্ছেদ হয়। এরপর পিয়াসা আর তার সাবেক শ্বশুর দিলদারের মধ্যেও পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছিল।
মডেল পিয়াসা সম্প্রতি মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
পুরনো খবর