রোববার যুক্তিতর্ক শুনানিতে আসামি নাঈম আশরাফের আইনজীবী খায়রুল ইসলাম লিটন এই দাবি করেন।
ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আগামী রোববার বাকি আসামিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানির দিন রেখেছেন।
সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে সম্প্রতি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।
ফারিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের কয়েক মাস পরই ২০১৭ সালে ঢাকার বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাফাতের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
নাঈমের আইনজীবী লিটন শুনানিতে বলেন, “এ মামলার ঘটনা মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার সাজানো নাটক।
“চিকিৎসা প্রতিবেদনে (মেডিকেল রিপোর্ট) ভিকটিমের শরীরে কোনো আঁচড়ের চিহ্ন ছিল না, পরিধেয় বস্ত্রও ছেঁড়া ছিল না।”
এই মামলায় আসামিদের যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, তাও শারীরিক নির্যাতনের মুখে বলে দাবি করেন এই আইনজীবী।
তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিভিন্ন অসঙ্গগতি তুলে ধরে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের কোনো সাক্ষীই ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণে কোনো সাক্ষ্য দিতে পারেননি।
এর বিরোধিতায় রাষ্ট্রপক্ষ কোনো বক্তব্য দেয়নি।
আসামি পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন কাজী নজিবুল্যাহ হীরু, মোশাররফ হোসেন কাজল, মাহবুব আহম্মেদ, হেমায়েত উদ্দীন মোল্যা।
সাফাতসহ অন্য আসামিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য সময় চাওয়া হলে বিচারক শুনানি মুলতবি করেন।
সাফাত, নাঈম ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ, তার দেহরক্ষী রহমত আলী ও তার গাড়িচালক বিল্লাল। আসামিদের সবাই জামিনে রয়েছেন।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় মামলাটি হয়।
তখন তুমুল আলোচনার মধ্যে সাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মামলার এক মাসের মধ্যে ৭ জুন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তারপর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আদালতে বিচার শুরু হয়।