এইচএসসির ফরম পূরণের টাকা ফেরত দেবে সরকার

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় ফরম পূরণের কিছু টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেবে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2020, 12:23 PM
Updated : 21 Oct 2020, 12:23 PM

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বুধবার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “যেহেতু এবার এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শিক্ষার্থীদের কিছু টাকা ফেরত দেব। পরীক্ষার উদ্দেশ্যে যেসব খাতে টাকা খরচ হয়নি তা ফেরত দেওয়া হবে।”

পরীক্ষা কেন্দ্র ফি থেকে কিছু অংশ, ইনভিজিলেটর ফি ছাড়াও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি থেকে কিছু অংশ শিক্ষার্থীরা ফেরত পাবে বলে জানান জিয়াউল।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে education-building-020920-01.jpgএবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ফরম পূরণের টাকা ফেরতের দাবি ওঠে।

কীভাবে এবং কত টাকা করে শিক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়া হবে, সে বিষয়ে বোর্ড কাজ করছে বলে জানান অধ্যাপক জিয়াউল।

এইচএসসির ফরম পূরণের জন্য গত বছরের নভেম্বরে কেন্দ্র ফি'সহ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক হাজার ৯৪০ টাকা ফি ধরা হয়।

এর মধ্যে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের বোর্ড ফি বাবদ এক হাজার ৬৯৫ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্যের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক হাজার ৪৯৫ টাকা করে নেওয়া হয়।

এর বাইরে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি (ব্যবহারিক ফিসহ) হিসেবে ৮০৫ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্যের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪৪৫ টাকা করে নেওয়া হয়।

কেন্দ্র ফি থেকে থেকে ট্যাগ অফিসারের সম্মানীসহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করতে বলা হয়। কিন্তু যাদের ব্যবহারিক বিষয় আছে তাদেরকে টাকার সঙ্গে প্রতিপত্রের জন্য আরও ২৫ টাকা করে দিতে হয়েছে। এছাড়া ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়নে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত পরীক্ষকের জন্য পত্রপ্রতি ২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হয়।

এছাড়া ফরম পূরণের জন্য একজন নিয়মিত শিক্ষার্থীকে প্রতি পত্রের জন্য ১০০ টাকা, ব্যবহারিক বিষয়ের প্রতি পত্রের জন্য ২৫ টাকা, একাডেমিক/ট্রান্সক্রিপ্ট ফি ৫০ টাকা, সনদ ফি ১০০ টাকা, রোভার স্কাউট/গার্লস গাইড ফি ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি পাঁচ টাকা ধরা হয়েছিল।