করোনাভাইরাস মহামারীকালে যখন আদালতগুলো সীমিত আকারে ভার্চুয়ালি কাজ করছে, তখন চেক প্রতারণার মামলাও ই মেইলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকার আদালত।
Published : 04 Jun 2020, 07:53 PM
বৃহস্পতিবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আদালতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে আইনজীবীদের ই মেইলে এই ধরনের মামলা দায়েরের পরামর্শ দেওয়া হয়।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম এবং মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত এই মামলাগুলো গ্রহণ করবে।
নেগশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারাসহ আরও কয়েকটটি ধারায় চেক প্রতারণা মামলার অভিযোগ ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত এবং থানা পুলিশের কাছে এ মামলা করার বিধান নেই।
এ ধরনের মামলাই আদালতে নালিশি মামলা হিসাবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় দায়ের হয়ে থাকে। সে কারণে এসব মামলায় আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী মানুষের সংশ্লিষ্টতাও থাকে বেশি।
করোনাভাইরাস সঙ্কটে গত ১০ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এ আদালতে ফৌজদারি মামলায় জামিন ও দেওয়ানি প্রকৃতির মামলায় শুধু নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে শুনানি চলছে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মতিতে এনআইঅ্যাক্ট এর মামলার ক্ষেত্রে ফাইলিং গ্রহণ করতে সম্মতি হয়েছে।
“ন্যায়বিচারের স্বার্থে ওই আইনের মামলার ফাইলিং প্রত্যেক আমলি আদালতে ই মেইলের মাধ্যমে ফাইলিং করার জন্য অনুরোধ করা হলো। পরে আদালতের আদেশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধি ২০০ ধারার বাদীর জবানবন্দি দেওয়া যাবে।”
এ ধরনের মামলায় অভিযুক্তকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির নোটিশ দেওয়ার পর ৩০ দিন উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সে উত্তরে কোনো সুরাহা না হলে অথবা বিরোধ না মিটলে পরবতী ৩০ দিনের মধ্যে যে কোনো দিন মামলা করতে হবে বলে আইনে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। সময়ের এই বাঁধা ছকের বাইরে গেলে সে মামলা নেওয়া হবে না। অথবা মামলা নিলেও সে মামলা টিকবে না।