করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে রোজার ঈদের আগে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর খুলছে না।
Published : 05 May 2020, 09:29 PM
সরকারের ‘সাধারণ ছুটির’ সঙ্গে রোজা ও ঈদের ছুটি মিলিয়ে দিয়ে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “রোজা ও ঈদের ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। যেহেতু ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটিও রোজা ও ঈদের ছুটির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।”
জীবনযাপনের জন্য কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করলেও কোনো স্কুল-কলেজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে অচিরেই খুলছে না, সে ইংগিত এপ্রিলের শেষ দিকেই দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছিলেন, মহামারীর বিস্তার না কমলে প্রয়োজনে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতেও তিনি রাজি।
মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২০ সালের শিক্ষাপঞ্জিতে রমজান, মে দিবস, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বৈশাখী পূর্ণিমা, শব-ই-কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ মে ছুটি নির্ধারিত আছে।
রোজা, ঈদ আর কয়েকটি দিবসের ছুটি মিলিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি রয়েছে ২৫ এপ্রিল থেকে ২৮ মে পর্যন্ত। আর সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোতে ১৪ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত রোজা, শব-ই-কদর, জামাতুল বিদা, ঈদ এবং গ্রীষ্মকালীন অবকাশ নির্ধারিত রয়েছে।
সচিব মাহবুব বলেন, আপাতত ৩০ মে পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। পরিস্থিতি ভালো হওয়া সাপেক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই ছুটি যে রোজার ঈদের পরে আরও দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে সেই আভাসও দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব।
“এখনও পরিস্থিতি ভালো হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কোনো ঝুঁকি যখন থাকবে না তখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে। ৩০ মে’র পরে নতুন সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে, পিছিয়ে গেছে এসএসসির ফল প্রকাশ।
কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এর পর ধাপে ধাপে সরকারি ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।