অস্ত্র মামলার পর মাদক আইনের মামলায়ও যুবলীগের বহিষ্কৃত দুই নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে আদালতে।
Published : 09 Dec 2019, 08:09 PM
র্যাবের দেওয়া এই অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিদের কাছ থেকে ১৯ বোতল মদ পাওয়া গেছে, পাওয়া গেছে ইয়াবা ট্যাবলেটও। জব্দ করা ইয়াবার দাম ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
সম্রাট জিজ্ঞাসাবাদে আরমানের সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কথা বলেছেন বলেও দাবি করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
র্যাবের করা এই মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-২ এর উপপরিদর্শক মো. আবদুল হালিম রোববার ঢাকার হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র দেন বলে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানির দিন রয়েছে। সেদিনই অভিযোগপত্রটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে।”
ক্যাসিনোকাণ্ডে নাম আসার পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাট ও সহসভাপতি আরমানকে ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
কুমিল্লায় অভিযানের সময় আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায়। তার কাছে ১৪০টি ইয়াবা পাওয়ায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে র্যাব।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিনই তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কেরাণীগঞ্জের কারাগারে।
আর ঢাকার রমনা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে মাদক আইনের মামলায় সম্রাট ও আরমান দুজনকে এবং অস্ত্র মামলায় শুধু সম্রাটকে আসামি করা হয়।
অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র ১১ অক্টোবর দিয়েছিল পুলিশ; তার প্রায় এক মাস পর র্যাব দিল মাদকের মামলার অভিযোগপত্র।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবগুলো পরিচালনা করতেন সম্রাট। তার নিয়ন্ত্রণেই এসব ক্লাবে ক্যাসিনোসহ জুয়ার আসর বসত। এভাবে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হন। সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতেন তিনি।