এর মধ্যে ঢাকার রমনা থাকায় তাদের বিরুদ্ধে দুই আইনে দুটি মামলা হয়েছে। আর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় আরমানের বিরুদ্ধে হয়েছে মাদক আইনের একটি মামলা।
রমনা থানার পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম জানান, সোমবার রমনা থানায় দায়ের করা মামলা দুটির মধ্যে একটি অস্ত্র আইনে, অন্যটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের।
“অস্ত্র আইনের মামলায় শুধু সম্রাটকে আসামি করা হয়েছে; আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সম্রাট ও আরমান- দুজনকেই আসামি করা হয়েছে।”
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাট ও সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমান।
শনিবার গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয় এবং শান্তিনগর ও মহখালীতে তার দুটি বাসায় অভিযান চালানো হয়্ একই সময়ে অভিযান চলে মিরপুর দুই নম্বর সেকশনে আরমানের বাসায়।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে সম্রাটের কার্যালয় থেকে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া মাদক ও অস্ত্র পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে আরও দুটো মামলা করা হবে বলে তখনই জানিয়েছিলেন র্যাবের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট।
তিনি বলেছিলেন, কুমিল্লায় অভিযানের সময় যুবলীগ নেতা আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায়। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায়।
এস সময় আরমানের কাছে ১৪০টি ইয়াবা পাওয়ায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন র্যাব-৭ এর কর্মকর্তা এসআই সজীব মিয়া।
দুই যুবলীগ নেতার মধ্যে সম্রাটকে ঢাকায় এবং আরমানকে কুমিল্লা কারাগারে রাখা হয়েছে।