ঢাকার ধানমন্ডিতে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
Published : 05 Nov 2019, 06:51 PM
তারা হলেন- মো. নুরুজ্জামান (দারোয়ান), গাওসুল আযম প্রিন্স (তত্ত্বাবধায়ক), মো. আতিকুল হক বাচ্চু, বেলায়েত হোসেন ও সুরভী আক্তার নাহিদা।
মঙ্গলবার তাদের ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিন হেফাজতের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রবিউল আলম।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া পাঁচ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামি প্রিন্স ও নুরুজ্জামানের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন চাইলেও তা নাকচ করে দেন হাকিম।
গত ১ নভেম্বর ধানমন্ডির ২৮ নম্বর সড়কের ২১ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাটে গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম (৬৫) ও গৃহকর্মী দিতি (১৮) খুন হন। এই ঘটনায় আফরোজার মেয়ে দিলরুবা সুলতানা রুবা ৩ নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। আফরোজার স্বামী কাজী মনির উদ্দিন তারিম গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান টিমটেক্স গ্রুপের এমডি ও ক্রিয়েটিভ গ্রুপের ডিএমডি।
ধানমণ্ডি থানা থেকে মামলার তদন্তভার ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে যাওয়ার পর রোববার আগারগাঁও থেকে সুরভীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের ধানমণ্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই ভবনে মায়ের ফ্ল্যাটের পাশের ফ্ল্যাটে থাকেন অ্যাডভোকেট রুবা। তিনিই সেদিন প্রথম টের পেয়েছিলেন হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, গত ১ নভেম্বর বিকালে ওই বাসার পুরনো গৃহকর্মী আতিকুল হক বাচ্চু গৃহকর্মের জন্য নতুন একটি মেয়েকে নিয়ে আসেন রুবার বাসায়। রুবা তাকে তার মায়ের বাসায় কাজে পাঠান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রুবার ফোন তার মা না ধরলে তিনি গৃহকর্মী রিয়াজকে ওই বাসায় পাঠান। তখন রিয়াজ ফিরে এসে রুবাকে হত্যাকাণ্ডের কথা জানান।
বলা হচ্ছে, গ্রেপ্তার সুরভীই ওই গৃহকর্মী এবং তিনিই এই হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজন।
নুরুজ্জামানের পক্ষে তার আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, “আসামি পরিস্থিতির শিকার। পুলিশ ষড়যন্ত্র করে এজাহারে তার নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে।”
প্রিন্সের পক্ষে তার আইনজীবী এ এইচ এম রিয়াজ মাহমুদ বলেন, “তিনি বাড়ির ম্যানেজার। তার দায়িত্ব বাড়ির খবর রাখা। কারও রুমে গিয়ে খোঁজ-খবর রাখার দায়িত্ব তার না। তিনি ঘটনার সাথে জড়িত না।”
অন্য তিন আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
অন্যদিকে রিমান্ড আবেদনে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) বলেন, “নিষ্ঠুরভাবে দুজন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। সুরভীর পক্ষে একা হত্যা করা সম্ভব না। আসামিরা কো-অপারেট করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।”