প্রধানমন্ত্রী অপরাধীর দর্পচূর্ণ করেছেন: পূর্তমন্ত্রী

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে অপরাধীদের ছাড় না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত গড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বসতি দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,  “আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শত্রুরাও বাংলাদেশের দৃশ্যমান উন্নয়নের কথা স্বীকার করবে।

“সে উন্নয়নকে নৈতিকতার জায়গায়ও ধারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান কোনো রাজনৈতিক সরকার নিতে পারে, তিনি তা প্রমাণ করেছেন। তিনি দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন, যে দলেরই হোন, দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ঘোষিত কর্মসূচির বাস্তবায়ন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে উল্লেখ করে রেজাউল বলেন,  “আমরা দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছি। অপরাধীর দাম্ভিকতা শেখ হাসিনা চূর্ণ করে দিয়েছেন।”

বাংলাদেশের উন্নয়নে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরাও অসামান্য অবদান রেখেছে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন পূর্তমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আপনাদের দক্ষতা, কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও একাগ্রতা অত্যন্ত সময়োপযোগী। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথচলায় আপনারা গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধা।”

কোনো ধরনের দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে সেমিনারে মন্ত্রী বলেন,  “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধ্বংস হতে পারে না।

“দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অনৈতিকতা এগুলো কোনোভাবে বরদাশত করা হবে না। দুর্নীতিকে কোনোভাবে আমরা প্রশ্রয় দিতে চাই না। স্বচ্ছ বাংলাদেশ গড়ে আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।”

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মতিন ও বিজনেস ইনস্টিটিউট অব ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম সুলতান আলম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান।

আইইডিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।

‘বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার’ প্রতিপাদ্যে এদিন বিশ্ব বসতি দিবস-২০১৯ পালন করা হয়।