বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের আসামি তার সহপাঠি অনিক সরকার কারাগারে অন্য বন্দিদের মারের শিকার হয়েছেন বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা নাকচ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
Published : 15 Oct 2019, 05:16 PM
বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পঞ্চদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী অনিক সরকার গত ৬ অক্টোবর হত্যাকাণ্ডের পরপরই গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ডিবি পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ১২ অক্টোবর অনিক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে পাঠানো হয় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
অনিকের আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন আরেক আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল। অনিকই সেদিন আবরারকে বেশি পিটিয়েছিলেন বলে জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেন বলে সংবাদপত্রে খবর আসে।
অনিককে কারাগারে নেওয়ার পর কয়েকটি সংবাদপত্রে খবর আসে, সেখানে কারারক্ষী ও অন্য বন্দিদের হাতে লাঞ্ছিত ও মারধরের শিকার হন তিনি।
তার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও কারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
“এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যথযথ কর্তৃপক্ষ ও কারা অধিদপ্তরের কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশার বক্তব্য হল- অনিক সরকার গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছলে তাকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কারা সেলে রাখা হয়। কারা অভ্যন্তরে প্রবেশের পর অনিক সরকার কারারক্ষী বা কারাবন্দি কারও দ্বারাই আঘাতপ্রাপ্ত বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হননি।”
বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন অনিক সরকার। আবরারের বাবার করা মামলায় আসামি হওয়ার পর তাকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।
আবরার হত্যামামলার এজহারের অনিক সরকার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি।