পুলিশে ৩২ বছরের চাকরি জীবনের পর অবসরে যাচ্ছেন মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
Published : 05 Aug 2019, 05:07 PM
আগামী ১৩ অগাস্ট অবসর নিতে যাওয়া অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা চার বছর ধরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন।
ডিএমপি কর্মকর্তারা জানান, অবসরে যাওয়ার আগে কয়েকটি দিন বিদায়ী নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন আছাদুজ্জামান মিয়া।
সোমবার পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন আছাদুজ্জামান মিয়া। মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এক অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিবেন।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে আসবেন গুলশান হামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ঘটনার সময় রাজধানীতে পুলিশের মূল দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা।
কর্মজীবনের শেষ দিন তিনি ১৩ অগাস্ট ডিএনপি সদর দপ্তরে সহকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর বিকালে ঈদ পুনর্মিলনীতে অংশ নেবেন আছাদুজ্জামান মিয়া।
রোববার রাতে ডিএমপির ফেইসবুক পাতায় ‘জননিরাপত্তা বিধানে জনগণের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক লাইভ অনুষ্ঠানে আসেন আছাদুজ্জামান মিয়া।
“আমি সম্মানিত নাগরিকদের কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশেষ করে, যেসব জেলায় অনেকদিন চাকরি করেছি। আমি তাদের যে ভালোবাসা, সমর্থন, সহযোগিতা পেয়েছি, তাতে অত্যন্ত আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। চেষ্টা করেছি জনগণের জন্য কাজ করার, দেশের জন্য কাজ করার।”
১৯৬০ সালের ১৪ অগাস্ট ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জন্ম নেওয়া আছাদুজ্জামান ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলা ও রেঞ্জে দায়িত্ব পালনের পর হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি হয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি ডিএমপি কমিশনার পদে যোগ দেন।
ফেইসবুক লাইভে আছাদুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়ী ডিএমপি কমিশনার বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী একটি পুলিশ সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটা সময়ের দাবি।”
অনেক ‘অন্ধকার’ পেরিয়ে এখন ‘আলো’ দেখতে পাচ্ছেন মন্তব্য করে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “একটি অনুরোধ থাকবে, আমাদের বুঝতে হবে যে, আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমরা জনগণের চাকর।
“বল প্রয়োগ করা, লাঠি ঘোরানোর দিন আর নেই। এখন জনগণকে ভালবাসতে হবে, শ্রদ্ধা করতে হবে, ভালো সেবা দিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি আমরা এটা বুঝব, ততই আমাদের জন্য মঙ্গল হবে।”