পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ব্যবহারের সুযোগ থাকায় সব কারখানা বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
Published : 31 Jul 2019, 01:33 PM
মন্ত্রণালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মন্ত্রী গত ছয় মাসে সারা দেশে পরিবেশ অধিপ্তরের অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ এবংয় জরিমানা আদায়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
তিনি জানান, সারা দেশে গত ছয় মাসে অধিপ্তরের ১২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১২৬ টন পলিথিন জব্দ এবং ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ সময় শাহাব উদ্দিন বলেন, “সব পলিথিন কারখানা বন্ধ করা সম্ভব নয়।আমরা পলিথিন নিষিদ্ধ করেছি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পলিথিন ব্যবহারের সুযোগ আছে। সরকারের নীতিমালার আওতায় যেসব পলিথিন নিষিদ্ধ, সেগুলোর উৎপাদন বন্ধ করে দেব।
“তবে যেগুলো নিষিদ্ধ নয় সেগুলো আমরা বন্ধ করতে চাই না। পাট দিয়ে আমরা বিকল্প ব্যাগ তৈরি করছি। সে বিষয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শাস্তি দিয়েও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না।”
পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম আরও জোরদার করতে আটটি বিভাগীয় শহর এবং ৩৬টি জেলায় কার্যালয় স্থাপন এবং প্রয়োজনীয় জনবল দেওয়া হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে সব জেলায় অধিদপ্তরের কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
শাহাব উদ্দিন বলেন, “বায়ু দূষণ রোধেও আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। ঢাকাসহ বড় বড় জেলা শহরে বায়ুর মান নিরূপনের জন্য ১৬টি ক্যাম্প স্থাপন করেছি।
“আমাদের ৫৮ ভাগ বায়ু দূষণ হয় ইট ভাটার জন্য। ইট ভাটা বন্ধের জন্য পরিকল্পনা ও আইন পাস করা হয়েছে।”
শব্দ দূষণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে হাইড্রোলিক হর্ন আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করেছি। যারা হর্ন বাজায়, সেটি তাদের মানসিকতার বিষয়। বাইরের দেশে পেছনে কেউ হর্ন বাজালে অন্যরা রাগান্বিত হয়।
“মানুষ যদি সচেতন হয়, তাহলে শব্দ দূষণ বন্ধ হবে। যে হর্ন বাজায় সেও বুঝতে পারছে না এটি কত ক্ষতিকর। শব্দ দূষণ রোধে আমরা পুরো বাংলাদেশকে ক্যান্টনমেন্ট বানাতে চাই।”
বনের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা বনের জমি দখল করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেই জমি উদ্ধারের বিষয়টি প্রক্রিয়ায় আছে। তাদের বিরুদ্ধেও মামলাও হয়েছে। শিগগিরই জমি উদ্ধার করতে পারব বলে আশা করি।”
সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রঅ শাহাব উদ্দিন।
“রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু এখন পর্যন্ত সেখানে হয়নি। বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে পরিবেশ ও সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর কিছু হবে না। সেজনই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রাখতে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে সেগুলোও আমরা বাস্তবায়নে সক্ষম।”