কাঁঠালের ভেতরে করে ইয়াবা পাচারের সময় গ্রেপ্তার রেলওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
Published : 04 Jul 2019, 09:29 PM
এরা হলেন- রেল পুলিশের টিএসআই বাবলু খন্দকার (৫২) এবং তার স্ত্রী শিউলি বেগম (৩৯)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গেন্ডারিয়া থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বৃহস্পতিবার আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাবলু নড়াইলের লোহাগড়া থানার মাইগ্রামের মৃত খালেক খন্দকারের ছেলে। আর শিউলি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার কসবা থানার তালতলা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। ঢাকার দক্ষিণখান এলাকায় তাদের বাসা।
বুধবার দুপুরে সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন র্যাব-৪ এর সদস্যরা। তাদের সাথে থাকা কাঁঠাল ভেঙে ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাবলু খন্দকার রেলওয়ে পুলিশে চাকরি করেন। চাকরির আড়ালে ট্রেনে করে প্রায়ই ঢাকায় ইয়াবা ও গাঁজার চালান নিয়ে আসতেন। বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে গোমতি এয়ারকন পরিবহনের একটি বাসে করে স্ত্রীসহ বাবলু খন্দকার ঢাকায় আসেন। সায়েদাবাদ এলাকায় বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে স্ত্রীসহ বাবলুকে শনাক্ত করা হয়। এরপর তাদের সঙ্গে থাকা কাঁঠাল ভেঙে ভেতর থেকে ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-৪ এর পুলিশ পরিদর্শক কবির উদ্দিন গেন্ডারিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আদালতে পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বাবলু খন্দকার পুলিশ বাহিনীর সদস্য হয়ে মাদক ব্যবসা করে যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে, মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, মাদকপ্রাপ্তির উৎস, আসামিদের দখল হতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার, তাদের সহযোগীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।
এ আদালতের সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কমৃকর্তা এসআই মোসাম্মৎ তাহেরা খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আসামিদের পক্ষে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন আহমেদ রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চান।
তিনি দাবি করেন, কাঁঠালগুলোর মালিক এই পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী ছিলেন না। তারা কাঁঠালের মধ্যে ইয়াবা সম্পর্কে জানতেন না।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।