চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
আপাতত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগেই সব মনোযোগ রেয়াল মাদ্রিদের, বলছেন ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল।
Published : 07 May 2024, 11:15 PM
চার ম্যাচ হাতে রেখে লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত করলেও উদযাপনটা এখনও সীমিতই রেখেছে রেয়াল মাদ্রিদ। সম্মিলিতভাবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দানি কারভাহাল। মাদ্রিদের দলটির অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার বলছেন, আপাতত বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগ ঘিরেই সব মনোযোগ তাদের।
লা লিগায় গত শনিবার কাদিসকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় রেয়াল। দিনের পরের ম্যাচে জিরোনার বিপক্ষে বার্সেলোনা হেরে গেলে শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায় কার্লো আনচেলত্তির দলের।
এক মৌসুম পর লিগের মুকুট পুনরুদ্ধার করে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত রেয়ালের সবাই। তবে এখনও ঘটা করে উদযাপন করেনি স্পেনের সফলতম দলটি। সংবাদমাধ্যমের খবর, আগামী রোববার রেয়ালের ট্রেনিং গ্রাউন্ড ভালদেবেবাসে ‘ক্লোজ ডোর’ অনুষ্ঠানে দলটির হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হবে।
তার আগে বুধবার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বায়ার্নের মুখোমুখি হবে রেয়াল। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কারভাহাল বললেন, তাদের সব মনোযোগ এই ম্যাচ ঘিরেই।
“দিন শেষে আমাদের কাজ হলো ম্যাচ জেতা। যখন আমাদের ট্রফি দেবে, তখন আমরা উদযাপন করব। যখনই আমরা এবং ক্লাব উপযুক্ত সময় মনে করবে তখনই আমরা আমাদের ভক্তদের সামনে ট্রফি দেখাব। আপাতত আমাদের মনোযোগ আগামীকালের ম্যাচের দিকে।”
“বিশ্বের সেরা ক্লাবে থাকার চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে বেশি। আগামীকাল আমাদের একটি বড় ম্যাচ আছে, তাই আমরা সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি, আর সে কারণেই আমরা ওই (শিরোপা উদযাপন না করার) সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরে উদযাপন করার সময় আছে আমাদের।”
প্রথম লেগে বায়ার্নের মাঠে ২-২ ড্র হয়েছিল। ফিরতি লেগে কোনো দলের সামনেই জয়ের বিকল্প নেই।
এই মৌসুমে লা লিগার আগে গত জানুয়ারিতে স্প্যানিশ সুপার কাপ ঘরে তোলে রেয়াল। অথচ গত মৌসুমের পর কারিম বেনজেমা ও মার্কো আসেন্সিওর মতো খেলোয়াড়কে হারাতে হয় তাদের। এই মৌসুমের শুরু থেকে একের পর এক ফুটবলার ছিটকে পড়েন চোট নিয়ে। অনেকটা ভাঙাচোরা দল নিয়েই মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে তারা। মৌসুমে হেরেছে মাত্র দুটি ম্যাচ।
এই সাফল্যের বড় কৃতিত্ব কোচ আনচেলত্তি ও তার স্টাফদের দিলেন ৩২ বছর বয়সী কারভাহাল।
“সত্যি বলতে, এই মৌসুমে আমাদের সাফল্যের বড় কৃতিত্ব কোচ ও তার স্টাফদের। কারিম (বেনজেমা) ও মার্কোর (আসেন্সিও) মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের চলে যাওয়া এবং প্রথম একাদশের তিন জনের চোটে পড়া…মৌসুমে আমরা মাত্র দুটি ম্যাচ হেরেছি এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় থেকে দুটি ম্যাচ দূরে আছি।”
“তারা (কোচিং স্টাফ) আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে সাহায্য করেছে এবং আমরা সকলেই অবদান রাখতে পেরেছি, অন্যদের চেয়ে কয়েকজন বেশি মিনিট খেলেছে, যা লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করেছে।”