গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় অভিযোগপত্রভুক্ত দুই পলাতক আসামির বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি ও তাদের সম্পত্তি জব্দের অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পিছিয়ে ১৮ অক্টোবর নির্ধারণ করেছে আদালত।
Published : 30 Sep 2018, 09:22 PM
সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল রোববার এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ অগাস্ট আট আসামির বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে দুই পলাতক আসামি শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে তাদের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
রোববার এর অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিনে শহিদুলের সম্পত্তি জব্দ এবং হুলিয়া জারির প্রতিবেদন আদালতে জমা পড়লেও রিপনের প্রতিবেদন না আসায় নতুন তারিখ ঠিক করে দেন বিচারক।
এ আদালতের প্রসিকিউটর গোলাম সারোয়ার খান জাকির বলেন,পলাতক এক আসামির বিষয়ে পুলিশ প্রতিবেদন দিতে না পারায় আলোচিত এ মামলার বিচার শুরু করা যাচ্ছে না।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে গত ২৩ জুলাই তাদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
এরপর ৮ অগাস্ট ওই আট আসামির বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান।
পাশাপাশি অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশ অনুযায়ী এ মামলায় দুই বছর ধরে কারাবন্দি নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমের বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পাঁচ তরুণের সরাসরি অংশগ্রহণে হলি আর্টিজান বেকারিতে ওই হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে জবাই ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হন হামলাকারী পাঁচ তরুণ - রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, নব্য জেএমবির জঙ্গিরা ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা করে ওই হামলা চালিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, দেশকে ‘অস্থিতিশীল’ করা, বাংলাদেশকে একটি ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ বানানো।