ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান বুধবার এই আদেশ দেন।
এ আদেশ বাস্তবায়নে কতটা অগ্রগতি হল তা জানাতে ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ রাখা হয়েছে বলে ট্রাইবুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
কারাগারে থাকা এ মামলার ছয় আসামিকে এদিন ট্রাইবুনালে হাজির করা হয় বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ৮ অগাস্ট আট আসামির বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে দুই পলাতক আসামি শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।
কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় তাদের এখন হুলিয়া জারি করে সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিলেন বিচারক।
হুলিয়া জারি হওয়ায় পুলিশ এখন পলাতক দুই আসামির ঠিকানায় এবং সংশ্লিষ্ট থানায় তাদের পলাতক থাকার বিষয়টি জানিয়ে নোটিস টাঙিয়ে দেবে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে গত ২৩ জুলাই তাদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ওই অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, নব্য জেএমবির জঙ্গিরা ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা করে ওই হামলা চালিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, দেশকে ‘অস্থিতিশীল’ করা, বাংলাদেশকে একটি ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ বানানো।
জীবিত আট আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা ছয়জন হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগর।
চিহ্নিত বাকি ১৩ জন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
পাঁচ তরুণের সরাসরি অংশগ্রহণে হলি আর্টিজান বেকারিতে ওই হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে জবাই ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হন হামলাকারী পাঁচ তরুণ - রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এ মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ২০ বছর কারাদণ্ড।