সাদ হত্যা: তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজার পরিবর্তে যাবজ্জীবন

রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র নাদিমুজ্জামান সাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে হাই কোর্ট।

বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মবীনের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান রুবেল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ।

ফাঁসির দণ্ড থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাদের বাল্যবন্ধু আল-আওয়াল কোয়েল (২০), সুইট রেজা (২১) ও মাসুদ ইবনে আলী শাওন (১৯)।

আর কায়সার আহমেদ অনিকের (২০) যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।

রায়ের পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হলেও বয়স বিবেচনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। আর যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামির দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।”

হাই কোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে বলেও জানিয়েছেন এই আইন কর্মকর্তা।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি সাদকে বাড়ি থেকে পিকনিকের কথা বলে অপহরণ করা হয়। ছেলের খোঁজ না পেয়ে ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি সাদের বাবা আমিনুল ইসলাম রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে অপহরণের মামলা করেন।

পরে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে সাদের তিন বন্ধু শাওন, অনীক এবং বিপুকে আটক করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহানগরের শিরোইল মঠপুকুর এলাকার মাহমুদা বেগমের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে সাদের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় করা মামলায় রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত ওই বছরের ৮ নভেম্বর সাদের তিন বন্ধু আল-আওয়াল কোয়েল, সুইট রেজা ও  মাসুদ আলী শাওনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। আর কায়সার আহমেদ অনীককে দেয় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড।

নিয়ম অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাই কোর্টে আসে। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হয়।