কুমিল্লার মামলায় খালেদার জামিন স্থগিতের আবেদনে সাড়া মেলেনি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নৈশকোচে পেট্রোল বোমা মেরে আট যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছয় মাসের জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে সাড়া মেলেনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2018, 05:15 PM
Updated : 7 August 2018, 05:15 PM

রাষ্ট্রপক্ষের আবদনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী মঙ্গলবার কোনো আদেশ না দিয়ে তা আগামী ৯ অগাস্ট আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রেখেছেন।

সোমবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেয়। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে মঙ্গলবার চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

জামিন স্থগিতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশিরুল্লাহ।

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং এ কে এম এহসানুর রহমান।

বিশেষ ক্ষমতা আইনের এ মামলায় কুমিল্লার বিশেষ আদালতে জামিন আবেদনের পাশাপাশি খালেদাকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানোর আবেদনও করা হয়েছিল।

২৮ মে আদালত কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নাশকতার দুটি ঘটনায় হত্যা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলা দুটিতে খালেদাকে ছয় মাসের জামিন দেয়।

কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে চেম্বার আদালত ওই জামিন স্থগিত করে দেয়। পরে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ ওই স্থগিতাদেশ বহাল রেখে ২৪ জুন লিভ টু আপিল শুনানির তারিখ দিলে খালেদার মুক্তি আটকে যায়।

১ জুলাই কুমিল্লার দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কে এম শামছুল আলম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখালেও জামিনের বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে আবেদনটি ৮ আগস্ট শুনানির জন্য রেখে দেন।

১১ জুলাই হাই কোর্টে ফৌজদারি আপিলের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হয়। এরপর হাই কোর্ট গত ২৩ জুলাই কুমিল্লার আদালতের জামিন আবেদনটি ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়।

কিন্তু ২৫ জুলাই কুমিল্লার আদালত খালেদার জামিন আবেদনটি নামঞ্জুর করলে গত ২৯ জুলাই হাই কোর্টে ফের ফৌজদারী আপিলের সঙ্গে জামিন আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা।

সেই আবেদনের শুনানি নিয়েই সোমবার হাই কোর্ট ছয় মাসের জামিন দেয় খালেদা জিয়াকে।

সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় একটি নৈশকোচে পেট্রোল বোমা হামলায় আট যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় হুকুমের আসামি করে হত্যা মামলার পাশাপাশি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরও একটি মামলা করে পুলিশ।

পরে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রূপান্তর করা হয়।

খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী এহসানুর রহমান বলেন, “গত ২৮ মে খালেদা জিয়া এ মামলাটি বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন। সে আবেদনটি বিচারাধীন রয়েছে।”

আরও খবর