জেলা সদরে এক বা একাধিক শিশু আদালত গঠনের বিধান রেখে প্রত্যেক জেলা শহরে শিশু আদালত করতে এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের প্রস্তাব উঠেছে সংসদে।
Published : 26 Jun 2018, 10:49 PM
বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
শিশু আইন-২০১৩ সংশোধনের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, “কোনো অপরাধ সংঘটনে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু জড়িত থাকলে পুলিশ রিপোর্ট, অনুসন্ধান প্রতিবেদন ওই বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুর জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুত করে দাখিল করতে হবে। অপরাধ আমলে গ্রহণের ক্ষেত্রেও পৃথকভাবে করতে হবে।”
বিদ্যমান আইনে শুধু অভিযোগপত্র আলাদাভাবে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আইনটি সংশোধন হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে গঠিত সব নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে।
বিলটি উত্থাপনের সময় প্রস্তাবিত আইনের নাম পরিবর্তনের দাবি করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘শিশু (সংশোধন)’ নামটি শুনলে মনে হয় শিশুদের সংশোধন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী মেনন নিজেও এতে সহমত পোষণ করলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদীয় কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরামর্শ দেন।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ”শিশু আইন-২০১৩ কার্যকর হওয়ার পর এর কিছু প্রায়োগিক সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার এর কিছু ধারা সংশোধনের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।”
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল উত্থাপন
একই দিন সংসদে ‘হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০১৮’ উত্থাপন করেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮৩ সালের ‘হিন্দু রিলিজিয়াস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অর্ডিন্যান্স’ রহিত করে নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে।
আগের আইনটি বাংলায় নতুন করে প্রণয়ণ করতে বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে।
আরও খবর-