গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে হাই কোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই মেয়র প্রার্থীর আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।
Published : 08 May 2018, 05:01 PM
চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। আপিল আদালতে এ আবেদনের ওপর বুধবারই শুনানি হবে।
হাই কোর্টের আদেশের বিষয়ে চেম্বার বিচারপতি নতুন করে কোনো আদেশ না দেওয়ায় গাজীপুর সিটি করপোরেশেনের নির্বাচন স্থগিতই থাকছে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী প্রার্থীরাও প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন।
কিন্তু সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নেতা এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ একটি রিট আবেদন করলে হাই কোর্ট গত রোববার এ সিটির নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়।
সেইসঙ্গে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করে জারি করা গেজেট এবং সম্প্রতি গাজীপুর সিটি করপোরশন নির্বাচনের তফসিল কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।
বিএনপি অভিযোগ করে, পরাজয় আঁচ করে সরকারই ‘ষড়যন্ত্র করে’ এ নির্বাচন আটকে দিয়েছে। ওই অভিযোগ অস্বীকার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, আদালতের ওই সিদ্ধান্তে সরকারের কোনো হাত নেই।
এদিকে আদালতের আদেশ গণমাধ্যমে দেখার পরপরই গাজীপুরে নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়ার কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার জন্য বিএনপির মেয়র প্রার্থী দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সোমবার চেম্বার বিচারপতির অনুমতি নেন।
এরপর মঙ্গলবার বিকালে আবেদন দুটি শুনে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আদালতে রিটকারী এম আজহারুল ইসলাম সুরুজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। আর প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশনের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, হাই কোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে তারাও আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।