এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ছয় দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন চালিয়ে আসা শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
Published : 05 Jan 2018, 04:21 PM
মন্ত্রীর আশ্বাসের পরও অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষকদের
আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার জানান, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ সাজ্জাদুল হাসান শুক্রবার বিকালে অনশনস্থলে এসে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের বিষয়টি জানালে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।
“জননেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাদের মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করে উনার একান্ত সচিব সাজ্জাদ সাহেবকে পাঠিয়েছেন। সাজ্জাদ সাহেব আমাদেরকে মেসেজ দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে আমরা অনশনভঙ্গ করে কর্মসূচি প্রতাহার করেছি।”
তাদের অনশন ভাঙাতে গত মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রেস ক্লাবের সামনে গেলেও এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণের দাবিতে অনশন চালিয়ে যান শিক্ষকরা।
অবশ্য সে সময়ই তারা বলেছিলেন, এমপিওভুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস পেলে তারা অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেবেন।
ছয় দিনের অনশনে অর্ধশতাধিক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের চিকিৎসাও দেওয়া হয়। শুক্রবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে অনশন ভাঙার পর আনন্দে মেতে ওঠেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
সর্বশেষ ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করে সরকার। এরপর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলে আসছিলেন সরকারের কাছ থেকে অর্থ পেলে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে মন্ত্রণালয়ের কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সেই অর্থ দিচ্ছে না।
সর্বশেষ গত ২ জানুয়ারি শিক্ষকদের অনশন ভাঙাতে গিয়ে তিনি বলেন, অনেক চেষ্টার পর তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছ থেকে সম্মতি আদায় করতে পেরেছেন। এবার নীতিমালা করে এমপিওভুক্তির কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
দেশে বর্তমানে এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে সোয়া পাঁচ হাজার। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার।
[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন প্রতিবেদক কাজী মোবারক হোসেন।]