যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের ঘটনার দিকে দুদক নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
Published : 14 Mar 2016, 04:40 PM
“বাংলাদেশ ব্যাংক ও র্যাব বিষয়টি দেখছে। আমরা বিষয়টি নজরে রাখছি। যেখানে দুর্নীতি হবে, সেখানেই যাবে (দুদক),” বলেছেন তিনি।
দুর্নীতি দমন সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের প্রথম দিন সাংবাদিক ও দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন ইকবাল।
গত মাসে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ডলার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরির পর তা নিয়ে তোলপাড় চলছে।
ওই অর্থের বেশিরভাগ অংশ ফিলিপিন্সের ব্যাংকে এবং একটি অংশ শ্রীলঙ্কার ব্যাংকে পাঠানো হয়েছিল। শ্রীলঙ্কায় পাঠানো ২ কোটি ডলার আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সে যাওয়া বেশিরভাগ অর্থ ব্যাংক চ্যানেলের বাইরে চলে গেছে।
সাবেক সচিব ইকবাল মাহমুদ গত ১০ মার্চ দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে এম বদিউজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হন। সোমবার ছিল কমিশনে তাদের প্রথম কর্মদিবস।
দুদককে অধিকতর দক্ষ, জনসম্পৃক্ত ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নতুন চেয়ারম্যান।
বিভিন্ন সময়ে খোদ দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
ইকবাল বলেন, “আমি চেষ্টা করব আগে আমার নিজের ঘর ঠিক করতে। দুদকের মধ্যে যদি কোনো দুর্নীতি থাকে, সেটা দূর করার চেষ্টা করব। এটা সত্য যে এ প্রতিষ্ঠানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে। সেটা যেন না থাকে সে চেষ্টা করব।”
এম সাহাবুদ্দিনের স্থলে নতুন দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম মতবিনিময় সভায় বলেন, “সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”