কক্সবাজারের এক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘রোহিঙ্গা ও জঙ্গি সংগঠনের’ লোকজনকে ভোটার করার অভিযোগ উঠেছে।
Published : 21 Oct 2015, 12:55 AM
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা নির্বাচন কমিশনে এ অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
জেলা প্রশাসককে পাঠানো ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন লক্ষাধিক টাকা উৎকোচের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও জঙ্গি সংগঠনের পরিবার পরিজনকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিন।
গত ১২ অক্টোবর টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের কয়েকজন সিইসির কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের দুবাই-সৌদি আরবসহ আরব আমিরাতে থাকা জঙ্গি, রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
ভোটার হওয়া আটজন ‘রোহিঙ্গার’ নামও তুলে ধরেন অভিযোগকারীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ্ মোজাহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশেষ কমিটির মাধ্যমে এখানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজ করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে আমরা খুব কড়াকড়ি করেছি। এরপরও এ ধরনের অভিযোগ আনা দুঃখজনক।”
ভোটার তালিকার কাজ করতে গিয়ে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘অসত্য’ অভিযোগ দিয়ে তার সুনামহানি ঘটানোর অপচেষ্টা হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে সাংসদ, নির্বাচন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধেও আগে অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে জনপ্রতিনিধির সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্ত না হলেও প্রায় একশ’ রোহিঙ্গা ভোটারকে চিহ্নিত করা হয়।