বিকল্প ব্যবস্থা না করে মহাসড়কে অটোরিকশা বন্ধে বড় একটি সংখ্যার মানুষের কর্মসংস্থানে সমস্যার সমালোচনার জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সমালোচকরা সমালোচনা করুক আর তিনি তার কাজ করে যাবেন।
Published : 12 Aug 2015, 11:48 PM
মহাসড়কে অটোরিকশা বন্ধের পক্ষে দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের সমর্থন রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বুধবার বিকেলে সাভারের নবীনগরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ‘ব্লাকস্পট’র উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।
অটোরিকশা, টেম্পোসহ অযান্ত্রিক কম গতির সব যানবাহনকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে পহেলা অগাস্ট থেকে সারাদেশের মহাসড়কে এসব যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
কয়েক লাখ অটো শ্রমিকের কর্মসংস্থানের কথা ভেবে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে, যাদের মধ্যে বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননও রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এ উদ্যোগ নেওয়ার পর কিছু মানুষের জীবিকা নির্বাহে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য সুশীল সমাজের কেউ কেউ সমালোচনাও করছেন।
“তাদের সমালোচনা তারা করুক, আমার কাজ আমি করছি।”
জীবিকার চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি- মন্তব্য কর মন্ত্রী বলেন, “মহাসড়কে এসব যান বন্ধ হওয়ার পর দুর্ঘটনা কমে গেছে।
“অটোরিকশা দুর্ঘটনায় চালক-যাত্রী সবাই মারা যায়। একদিকে তিন চাকার যান, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বন্ধ করেছি, অন্যদিকে দুর্ঘটনাপ্রবণ বাঁকগুলোর কাজ সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”
মন্ত্রী জানান, সারাদেশের মহাসড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ ১৪৪টি বাঁকের মধ্যে ঢাকা থেকে আরিচা পর্যন্ত ২০টি বাঁক রয়েছে। যার তিনটি বাঁকের উন্নয়ন কাজ চলছে।
১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সবগুলো বাঁকের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনার নাকশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। পেট্রোল বোমা, জ্বালাও-পোড়াও থেকে তাদের সরে আসতে হবে।”
ব্লগার হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগারদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার অস্বস্তিতে রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
ব্লগারদের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নিজেই তদারকি শুরু করেছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আফতাব উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।