নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়ের দেহে ধারালো অস্ত্রের ১২টি আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা।
Published : 08 Aug 2015, 01:36 PM
নিলয় হত্যা: ১৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
৪ জনকে আসামি করে ব্লগার নিলয়ের স্ত্রীর মামলা
তারা বলছেন, অভিজিৎ রায়সহ অন্য ব্লগারদের যেভাবে হত্যা করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের ধরনও তেমনি।
শুক্রবার নিহত নিলয়ের ময়না তদন্ত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে করা হয়। তা করেন কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক মো. হোসেন।
ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হাবিবুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নিলয়ের শরীরে ১২টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলার ও থুতনির আটটি আঘাত গভীর। এছাড়াও শরীরে ছিল আরও চারটি জখম।
“হত্যা নিশ্চিত করতেই এত আঘাত করা হয়েছে। মূলত গলার আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে,” বলেন এই চিকিৎসক।
তিনি বলেন, এর আগে যেসব ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের ধরনও সেই রকম।
নিলয় হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব স্বীকার করে ইতোমধ্যে আল কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার নামে বিবৃতি এসেছে। এর আগের ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেও তাদের একই রকম বিবৃতি এসেছিল।
ঢাকায় অভিজিৎ রায়, আহমেদ রাজীব হায়দার ও ওয়াশিকুর রহমান বাবু, সিলেটে অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার ক্ষেত্রেও হামলাকারীরা মাথা, গলা ও ঘাড়েই আঘাত করেছিল বলে ময়না তদন্তে দেখা যায়।
পূর্ব গোড়ান টেম্পোস্ট্যান্ডের কাছে ৮ নম্বর রোডের ১৬৭ নম্বরের পাঁচতলা ভবনের পঞ্চম তলায় নিলয়কে কুপিয়ে হত্যার সময় তার স্ত্রী ও শ্যালিকাও ঘরে ছিলেন। তাদের বারান্দায় আটকে রেখেছিল হামলাকারীরা।
ঢাকা মেডিকেলে ময়না তদন্তের পর নিলয়ের চাচা বিমল চট্টোপাধ্যায় ভাস্তের লাশ গ্রহণ করেন। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই তিনি পিরোজপুর থেকে আসেন।
শনিবার রাত ১০টার দিকে পিরোজপুর সদর থানার চলিশা গ্রামে নিলয়ের বাড়িতে তার লাশ পৌঁছায়। সেখানেই নিলয়ের শেষকৃত্য হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তার চাচা বিমল।
নিলয়ের বাবা তারাপদ চট্টোপাধ্যায় ও মা অর্পণা চট্টোপাধ্যায় পিরোজপুরে থাকেন। তাদের আরেকটি মেয়ে রয়েছে।
২৭ বছর বয়সী নিলয় ঢাকায় রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কালেকটিভ নামে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। ব্লগে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি।