বিএনপির ডাকা চতুর্থ দফা অবরোধের শুরুতে ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চ চলাচলে গতি নেই।
রোববার সদরঘাট থেকে দেশের দক্ষিণের পথে লঞ্চ ছাড়ছে কম, আর যেসব লঞ্চ ছাড়ছে তাতে তাতে যাত্রীও কম দেখা গেছে।
শুক্র ও শনিবার ছুটির দিন অবরোধের বিরতি ছিল। ওই দুই দিন দক্ষিণের রুটে সদরঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে সব লঞ্চ ছেড়ে গেছে সময়মত।
বিআইডব্লিউটিএ এর পরিবহন পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, রোববার সকাল থেকে বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর ও শরীয়তপুরের পথে ১১টি লঞ্চ সদরঘাট ছেড়ে গেছে, এসেছে ৩৭টি লঞ্চ।
অথচ শনিবার সারা দিনে সদরঘাট থেকে ৬৭ লঞ্চ ছেড়ে যায়, ভেড়ে ৬৯টি; যাত্রীও যথেষ্ট ছিল।
মিজানুর রহমান বলেন, “শুক্র ও শনিবার সদরঘাট পন্টুনে যাত্রী ও লঞ্চ চলাচলে খুব গতি ছিল, কিন্তু পরদিনই সব ওলটপালট।“
বোগদাদীয়া-৬ লঞ্চের মাস্টার মো. হৃদয় খান আক্ষেপ করে বলেন, “৫১ জন যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছেড়েছি, এত বড় লঞ্চে এত কম যাত্রী!”
অবরোধের এই সময়ে কোনো কোনো কোম্পানি আবার লঞ্চের মেরামতের কাজ করাচ্ছে বলে জানান লঞ্চ মাস্টার হৃদয়।
সকাল থেকে সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্য ছেড়ে গেছে ইমাম হাসান, সোনার তরী-৪, বোগদাদীয়া-৮, রায়হান-১; ভোলার ইলিশায় পথে গেছে দোয়েল পাখি-১০, কর্ণফুলী-১৪ ও কার্নিভাল ক্রুজ।
শরীয়তপুরের চরভৈরবী ও হাটুরিয়ায় গেছে জামাল-৪ ও বোগদাদীয়া-৬, নড়িয়ায় গাজী এক্সপ্রেস-৪। আওলাদ-২ যাচ্ছে বরিশালের মৃধারহাটের উদ্দেশ্যে।
যাত্রী না হওয়ায় সাতটি লঞ্চ ঘাটে বসে আছে জানিয়ে পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, মিতালী-৫, বোগদাদীয়া-৭, দোয়েল পাখি-১, দ্বীপরাজ-৪, গ্রীণলাইন-৩, মিতালী-৭, স্বর্ণদ্বীপ-৮ লঞ্চ সদরঘাট ছাড়েনি।
তবে কিছু বেশি যাত্রী দেখা গেছে কর্ণফুলী-১৪ লঞ্চে। ওই লঞ্চের মাস্টার মিজানুর রহমান বলেছেন, প্রথম শ্রণিতে ২৫ জন, বিলাসে ১০ জন এবং ডেকে ২১০ জন যাত্রী পেয়েছেন তারা।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের পর বিএনপি হরতাল ডাকে। এরপর একে একে তিন দফায় সাত দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির সঙ্গে সমমনা জোট ও দলও এ কর্মসূচি পালন করছে।
রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে চতুর্থ দফার সড়ক,রেল ও নৌপথ অবরোধ, যা মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চলবে।
এর আগে হরতালের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর সারা দেশে টানা তিনদিন অবরোধ করে বিএনপি-জামায়াত। সেই অবরোধ শেষে ৫ ও ৬ এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর কর্মসূচি দিয়েছিল তারা।