প্রায় সাড়ে ১৬ বছর আগে আয়ের সঙ্গে ‘অসঙ্গিতপূর্ণ’ সাড়ে সাত কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
Published : 22 Nov 2023, 05:04 PM
সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর তারিখ রেখেছে আদালত।
বুধবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন।
প্রায় সাড়ে ১৬ বছর আগে আয়ের সঙ্গে ‘অসঙ্গিতপূর্ণ’ সাড়ে সাত কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনে দায়ের করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ দিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় মির্জা আব্বাসকে।
এদিন তার পক্ষে তিন ঘণ্টা ধরে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ঘণ্টাখানেক শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আইনজীবী জাহাঙ্গীর মনে করছেন, রায়ে সাজা হবে ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাসের। আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুলের আশা তার মক্কেল খালাস পাবেন।
যুক্তিতর্কে অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেন, মির্জা আব্বাসের সম্পদ গোপন করার দরকার নেই। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত তার কোনো সম্পদ নেই।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, চার কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে এই বিএনপি নেতার। একই সঙ্গে ২২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা হয়েছে।
প্রায় সাড়ে ১৬ বছর আগে দায়ের করা এ মামলায় বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন। অভিযুক্তের পক্ষে মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর শাহজাহানপুর থানার একটি নাশকতার মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় রিমান্ডের পর দুদকের এ মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
সাফাই সাক্ষ্যের জন্য গত ৮ নভেম্বর মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন তার পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন আইনজীবী এ কে এম শাহজাহান এবং এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নুরুল হোসেন খান।
আয়ের সঙ্গে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদের মালিক হওয়া এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ অগাস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম ঢাকার রমনা থানায় এ মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সেখানে আব্বাসের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।
সম্পদের তথ্য গোপন: মির্জা আব্বাসের পক্ষে দুই জনের সাক্ষ্য
সাবের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘প্লেট চুরি’র অভিযোগ সত্য মনে করি না: আব্বাস