আইনজীবী এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নুরুল হোসেন খান এ বিএনপি নেতার পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন।
Published : 08 Nov 2023, 11:49 PM
সম্পদের তথ্য গোপন এবংজ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন দুজন।
তাদের মধ্যে আইনজীবী এ কে এম শাহজাহান বলেছেন, তিনি শাহজাহানপুরের একটি জমি কেনার জন্য বায়না বাবদ মীর্জা আব্বাসকে ৫০ লাখ টাকা দেন। ওই টাকা ‘অবৈধ নয়’। বাবার মাধ্যমে আব্বাসের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা হয়।
সাক্ষ্য দেওয়া আরেকজন এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নুরুল হোসেন খান বলেছেন, আব্বাসের কর ফাইল তিনি দেখতেন। তার কোনো ‘গোপন সম্পদের বিষয় নেই’।
বুধবার ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে সাফাই সাক্ষী হিসাবে জবানবন্দি দেন তারা। পরে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর তাদের জেরা করেন।
সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১২ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন।
গত ৩১ অক্টোবর মামলাটি সাফাই সাক্ষ্যের জন্য ছিল। কিন্তু ওইদিন মির্জা আব্বাস আদালতে হাজির হননি। কোনও সাফাই সাক্ষীও আদালতে যাননি। আদালত সেদিন জামিন বাতিল করে আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
শাহজাহানপুর থানার একটি নাশকতার মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়ার পর দুদকের এই মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সাফাই সাক্ষ্যের জন্য বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
আয়ের সঙ্গে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদের মালিক হওয়া এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সেখানে আব্বাসের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। বিচার চলাকালে দুদকের পক্ষে মোট ২৪ জন সাক্ষ্য দেন।